রুহুল আমিন রুকু,কুড়িগ্রাম,প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানায় এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে, অসহায় পরিবারটিতে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মকবুল হোসেনের ছেলেকে মাথায় কুপিয়েছে তারা,এতে গুরুতর অসুস্থ হলে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নেওয়া হয়, পরবর্তীতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসকরা
উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের সরকারটারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে, মোঃ মকবুল হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম কে মাথায় কুপিয়ে জখম করে এতে কতব্যরত চিকিৎসক মাথায় ৬ টি সিলাই দিয়েও অবস্থার অবনতি দেখলে রংপুরে রেফার করেন। ইতিপূর্বে আরো এরকম বেশ কয়েকটি হামলার শিকার হয়েছে উক্ত পরিবারটি, হামলার শিকার হলেও পায়নি সুবিচার, মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পরেও আজো অবহেলিত অনিরাপদ সুবিচার থেকে বঞ্চিত এরকম শতশত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মকবুল হোসেন জানান মোঃ হাছেন আলীর ছেলে মোঃ মাহফুজুর রহমান পলাশ, মৃত হামিদ আলীর ছেলে আলী হোসেন, আলতাফ আলী,শহিদুল ইসলাম, আবুল হোসেন,মৃত কছিমুদ্দিনের ছেলে হাছেন আলী সহ আরো ৪/৫ জন সবাই সঙ্গবন্ধ হয়ে আমাদের উপর মারপিট করে মাঝে মধ্যে। তাদের কথা আমার পরিবার কে এখানে থেকে উচ্ছেদ করবে। এর আগে আরো হামলা করছে আমার গলা চিপি ধরছে, পায়ের রক কাটি দিছে মেরে ফেলার হুমকি ধমকি দেয়, অনেক কে বিচার দেই কিন্তু পরে আর কিছুই হয়না কিছু দিন পরে আবার হামলা করে, এর আগে আমার আরেক ছেলে কে মারছে আমাকে মারছে, আমাদের জমি তারা জোর করে দখল নিতে চায় আমাদের বাধা করছে জমিতে চাষ করতে আমরাও মেশিনওয়ালাকে চাষ করতে বাধা করছি কিন্তু মেশিনওয়ালা সব জমি চাষ করতে এসে ঐ জমিটিও চাষ করেছে এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে এবার আমার বাসায় এসে আমার ছেলে শরিফুল ইসলাম কে দা দিয়ে মাথায় কুপায় ৬ সিলাই দিছে।
বার বার হামলার পরেও ন্যায্য বিচার না পাওয়া মুক্তিযোদ্ধার কান্নায় অশ্রু জলে ভিজে পুরো শরীর,তার কান্নাই জানান দিচ্ছে তিনি ৭১ সালে যুদ্ধ করে ভুল করছেন যে দুর্নীতি অবিচার সন্ত্রাসীদের দখলদার সবই আজো আছে এদেশে