শাহাদাত হোসেন নোবেল:দিঘলিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি: দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের উত্তর চন্দনীমহলের বোগদিয়া গ্রামের আনিস শেখের পুত্র মুস্তাকিনের(২২) স্ত্রী তামান্না আনিকার (১৮) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার এই অকাল মৃত্যুতে জনমনে নানা জিজ্ঞাসার জন্ম দিয়েছে। তামান্নার মৃত্যুর আসল রহস্য কি? তামান্নার মৃত্যু আসলে আত্নহত্যা না হত্যা?
এলাকাবাসী, পুলিশ ও তামান্নার স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, দিঘলিয়া উপজেলার পানিগাতী গ্রামের দক্ষিণপাড়া নিবাসী কাজী রবিউল ইসলামের কন্যা তামান্না আনিকা (১৮)। আড়াই বছর আগে মুসলিম শরিয়তের নিয়ম অনুযায়ী একই উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের উত্তর চন্দনীমহল ( বোগদিয়া) গ্রামের আনিস শেখের পুত্র মুস্তাকিন(২২) এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। রবিবার (৭ জুলাই) দুপুর ১ টার দিকে তামান্না পানিগাতী নানা বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে আসে। বিকালে তামান্নার সাথে তার স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ঝগড়া হয়। সন্ধ্যায় ৬টার সময় তামান্নার শশুর বাড়ির লোকজন তামান্নাকে অসুস্থ অবস্থায় দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করে। এদিকে তামান্নার স্বজনেরা সংবাদ পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। মৃত তামান্নার স্বজনেরা দিঘলিয়া থানায় জিডি করেন। দিঘলিয়া থানা পুলিশ তামান্নার লাশ উদ্ধার করে সোমবার সকালে খুমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে তামান্নার রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা চলছে। মৃত তামান্নার স্বজনদের দাবী তামান্নাকে তার শশুর বাড়ির লোকেরা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। কারণ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যার কোনো আলামত চিকিৎসক, পুলিশ ও স্বজনেরা দেখতে পায়নি।
অপরদিকে তামান্নার স্বামী ও তাদের বাড়ির লোকজন দাবী করছে তামান্না গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ বাবুল আক্তার জানান, দিঘলিয়া থানায় এ ব্যাপারে তামান্নার নানা বাদী হয়ে অপমৃত্যু মামলা দিয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে হত্যার রহস্য জানা যাবে। তামান্নাকে হত্যা করা হলে তখন হত্যা মামলা হবে। হত্যার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।