এ মুরশীদ আলী: খুলনা জেলা শাখার আয়োজনে গত ২৪ আগষ্ট দুপুর সাড়ে ১২ টায়, রূপসা দারুস সালাম জামে মসজিদ চত্ত্বর অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হওয়া রূপসার ৪ পরিবারকে ২ লক্ষা টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি বলেন- দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দেশের মানুষের ওপর গুম-খুন, মিথ্যা মামলা ও নির্যাতন চালিয়েছে স্বৈরাচারী সরকার। সেখান থেকে দেশ ও জনপদকে মুক্ত করতে যারা শহীদ হয়ে গেলেন, তারা আমাদের জাতীয় বীর। এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে এসব শহীদদের বীর হিসেবে ঘোষণা করা উচিৎ আমরা সেই দাবি জানাচ্ছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, খুনিদের বিচার অবশ্যই বাংলাদেশে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা গণহত্যা পরিচালনা করেছেন তাদের বিচার এদেশের মাটিতে করতে ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচারের কার্যক্রম শুরু করেছে, আমরা তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। আন্তর্জাতিক আদালতেও ইতোমধ্যেই গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাসহ তার সব দোসরদের নামে মামলা হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের সময়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন- জুলুম নির্যাতনের পরেও জামায়াতের নেতারা ফাঁসির দড়িতে চুম্বন করে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের কাছে আপোষ করেননি অথচ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তার নেতাকর্মীরাও পালাতে গিয়ে খালবিলে মাছের মতো ধরা পড়ছে’। স্বৈরাচারের লোকজন হিন্দু ভাইদের ব্যবহার করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল কিন্তু দেশের ছাত্রজনতা সেটি নস্যাৎ করে দিয়েছে। জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা হিন্দু ভাইদের মন্দির, জমি জায়গা পাহারা দিয়ে শান্তির বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করেছেন। কিন্তু বিগত দিনে আওয়ামী লীগের লোকজনই হিন্দু ভাইদের ঘরবাড়ি, জায়গা জমি দখল, লুটপাট ও মন্দির ভাঙচুর নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছে। ‘প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের যে প্রেতাত্মারা বসে আছে, তাদেরকে অপসারণ না করা পর্যন্ত নির্বাচনের জন্য ধৈর্য ধারণ করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত দেশ পুনর্গঠন না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সময় দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। এরপর তিনি সকল শহীদের স্মরনে দোয়া-মোনাজাত করিয়ে বক্তব্য শেষ করেন। জামায়াতে ইসলামী খুলনা জেলা শাখার আমির মাওলানা এমরান হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং জামায়াতে ইসলামী রূপসা শাখার সেক্রেটারির মাওলানা হাবিবুল্লাহ ইমনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, খুলনা অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিস শুরা সদস্য ও খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা মশিউর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিস শুরা সদস্য ও খুলনা মহানগর আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য ও কেন্দ্রীয় মজলিস শুরা সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম, সাতক্ষীরা জেলা আমির মাওলানা রবিউল বাশার, খুলনা জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিস শুরা সদস্য ও খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, খুলনা জেলা সহ সেক্রেটারি মুন্সি মইনুল ইসলাম, সহ সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মিয়া গোলাম কুদ্দুস, আল মুজাহিদ জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ গোলাপ মোস্তফা, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য স.ম এনামুল হক, খুলনা জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি মো. বেলাল হুসাইন, রূপসা উপজেলা আমির মাওলানা লাবিবুল ইসলাম, তেরখাদা উপজেলা আমি মাওলানা হাফিজুর রহমান, বটিয়াঘাটা উপজেলা আমি মাওলানা আবু ইউসুফ, বটিয়াঘাটা নায়েবে আমির মাওলানা আশরাফ আলী, তেরখাদা উপজেলা সেক্রেটারি মো. নাহিদ হাসান, সেক্রেটারি বটিয়াঘাটা উপজেলা মো. আব্দুল হাই প্রমূখ।