শাহাদাত হোসেন নোবেল :সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি আজ বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে খুলনা-যশোর মহাসড়কের নতুন রাস্তা মোড়ে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি শুরু করেন।
কোটাবিরোধী আন্দোলন ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনায় রাজপথ ও রেলপথ অবরোধ করেছে সরকারি ব্রজলাল কলেজ (বিএল কলেজ) ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় বাতিল, কোটাপদ্ধতি সংস্কার ও মেধাভিত্তিক নিয়োগ নিশ্চিতের দাবিতে খুলনায় রেলপথ রাজপথ অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে খুলনা-যশোর মহাসড়কে যানচলাচল ও রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা বেনাপোল থেকে আসা একটি ট্রেন খুলনা রেলস্টেশনে ঢুকতে বাধা দেয়।
অপরদিকে, বিকেলে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ খুলনা-ঢাকা মহাসড়কের রূপসা বাইপাস সাচিবুনিয়া মোড়ে অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
বিএল কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমরা আজকে এক দফা দাবি নিয়ে এখানে এসেছি। আমাদের দাবি হচ্ছে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত চাকরিতে সব কোটা বৈষম্যের অবসান চাই। কোটা বৈষম্যের অবসান হবে এর পর তারা রাজপথ ছাড়বেন এমনটাই দাবি করেন। তারা বলেন, এদেশের ছাত্র সমাজ কোন আন্দোলনে নেমে ফিরে যাওয়ার নজির নেই, এবারও আমরা দাবি আদায় না করে খালি হাতে ফিরবনা।
এদিকে সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুই শিক্ষার্থীর করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আজ বুধবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানান প্রধান বিচারপতি। আগামী ৪ সপ্তাহ পর এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে।