সাকিব হোসেন,পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালী বাউফলে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুঈনুল ইসলাম মিরাজ ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে মো. সুজন হাওলাদার (৩৫) নামের এক অটোরিকশা চালককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে উঠেছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ বাজারের পোলের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজন মদনপুরা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড দ্বিপাশা গ্রামের নবী আলি হাওলাদারের ছেলে। অভিযুক্ত মুঈনুল ইসলাম মিরাজ কনকদিয়া ইউনিয়নের নারায়ণপাশা গ্রামের মঞ্জু হাওলাদারের ছেলে। মিরাজের চাচা জাহাঙ্গীর হাওলাদার ছিলেন কনকদিয়া ইউনিয়নের বিএনপি দলীয় সাবেক চেয়ারম্যান।বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সুজন তার অটোরিকশায় বসে থাকাকালে হঠাৎ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুঈনুল ইসলাম মিরাজ, তার ছোটভাই মোরসালিন ইসলামসহ ৮ থেকে ১০ জন ব্যক্তি সুজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা সুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের চাচাতো ভাই মিজান উদ্দিন বলেন, সুজন আমাকে ফোন দিলে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। তখন আমি গিয়ে দেখেছি, ভাই রাস্তা পাশে পরে আছে। মঞ্জু হাওলাদারের ছেলে ছাত্রদল নেতা মিরাজ, সুজন ও মোরসালিসহ ১০-১৫ জন ব্যক্তি দেশীর অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
সুজনের বাবা নবী আলী হাওলাদার বলেন, জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের ভাতিজারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। তাদের সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। আমার ছেলে অটো চালিয়ে সংসার চালাতেন। কেন তাকে হত্যা করা হল তা বুঝতে পারছি না।বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মিরাজুল ইসলাম বলেন, নিহতের শরীরে তিনটি ধারাল অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। ডান পায়ে এবং পিঠের পাশেও একটি আঘাত রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মূনঈমুল ইসলাম মিরাজের মুঠোফোন নাম্বার বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য জানা যায়নি। জানা গেছে, তিনি বগা ফেরিঘাট পার হয়ে পালিয়ে গেছেন।বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, মিরাজ ও তার ভাইসহ কয়েকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনা কেন ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তদন্ত চলমান রয়েছে।