রুবেল আহমদ, জৈন্তাপুর(সিলেট)প্রতিনিধি: জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের উমনপুর এলাকায় সড়ক দুঘর্টনায় গত ১৩ জুন বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সিলেট গ্যাস ফিল্ড লি: কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন নিহত হন।
এই নিহতের ঘটনার জেরধরে প্রতিপক্ষের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়ে একই পরিবারের শিশু, নারী-পুরুষ সহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। হামলায় দু’টি বসতঘরে অগ্নীসংযোগ, ৩টি বসতঘর ভাংচুর করা হয় এবং একটি মোটরসাইকল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
৫ জুলাই শুক্রবার বাদ জুম্মা উমনপুর গ্রামে এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সিলেট গ্যাস ফিল্ড লি: কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন নিহতের ঘটনার সম্প্রতি পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই হত্যা মামলায় একই গ্রামের সিদ্দেক আলী,মরম আলী,তাহির আলী গং পরিবারকে অভিযুক্ত করা হয়।
শুক্রবার বাদ জুম্মা উমনপুর গ্রামের জামে মসজিদে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং ঘটনায় বিষয়ে গ্রাম্য বৈঠকে বসে আলোচনা করা হয়।
বৈঠকে গ্রামের লোকজনের মধ্যে এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ।
এক পর্যায়ে নিহত মঈনুল হোসেন পরিবারের পক্ষে গ্রামের কিছু উত্তেজিত জনতা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে অভিযুক্ত একই গ্রামের সিদ্দেক আলী, মরম আলী,তাহির আলী গং পরিবারের বসতবাড়িতে দলবেধেঁ হামলা, ভাংচুর ও অগ্নীসংযোগ করেন।
এই ঘটনায় ৩ বছরের শিশু রিহান আহমেদ (৩) পিত মনজুর আহমেদ এবং একই পরিবারের নারী-পুরুষ সহ অন্তত ১৫জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মরম আলী (৭০),জুহরা বেগম (৬৫), পারভীন বেগম(৪০), আলবেলা বেগম(৩৮),ফাহিমা বেগম (৩৮), হাসিনা বেগম (৪৫), কুলছুমা বেগম (৪০), তানজিনা বেগম (১২),মারজানা বেগম (১৯),আবিদা বেগম (০৪), সোহাগ আহমদ (০৭), হাম্মাদ (১৭), সাকিব হাসান (১৪), সাইদ আহমদ (১৫)। পুলিশ স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় আহতদের উদ্বার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে।
হঠাৎ করে গ্রামের শত শত লোক প্রতিপক্ষের বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ভাংচুর ও হামলায় পরিবারের নারী-পুরুষ শিশুরা আতংকিত হয়ে পড়েন। অনেক মহিলা ও শিশু আত্মচিৎকার করে প্রাণ ভয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটাছুটি করেন। জৈন্তাপুর মডেল থানার এসআই আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স এবং আশ পাশ গ্রামের লোকজন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
ঘটনার খবর পেয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম লিয়াকত আলী, ভাইস-চেয়ারম্যান সাহাদ উদ্দিন (সাদ্দাম), জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) মো: তাজুল ইসলাম (পিপিএম), স্থানীয় চিকনাগুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান চৌধুরী, ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক আহমদ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগণ হামলার শিকার হওয়া সিদ্দেক আলী,মরম আলী,তাহির আলী গং পরিবারের বসতবাড়ি পরিদর্শন করতে যান। আহতরা সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে চিসিৎসাধীন রয়েছেন।
জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) মো: তাজুল ইসলাম (পিপিএম) জানিয়েছেন, বসতবাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।