জৈন্তাপুর(সিলেট)প্রতিনিধি: জৈন্তাপুর উপজেলার নয়া গাং নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের আবেদন জানানো হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি প্রশাসকের কাছে এই আবেদন করা হয়। নয়া গাং শান্ত প্রকৃতির নদী। এ নদী জৈন্তাপুর উপজেলার জন্য আশীর্বাদ।এলাকাবাসীর পক্ষে এই আবেদন করেন অত্র এলাকার মাতব্বর আব্দুস শুকুর আহমদ ।
এতে বলা হয়েছে, আমাদের গ্রামটি নয়া গাং নদীর পাড় ঘেঁষিয়া বিদ্যমান রহিয়াছে। বিবাদীগন এক সংঘবদ্ধ সন্ত্রাস ও ভূমিখেকো প্রকৃতির লোক। তাহারা নয়া গাং নদী হইতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করিয়া বিক্রয় করিয়া লক্ষ লক্ষ টাকা
আত্মসাৎ করিতেছে। বিবাদীগনের ধারাবাহিক ভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নয়া গাং নদীর উত্তর পাড়ে বিভিন্ন স্থানে
ভাঙ্গনের সৃষ্টি হইয়াছে। বিবাদীগন গভীর রাতে ও দিন দুপুরে উক্ত নদী হইতে বালু উত্তোলন করিয়া নৌকা যোগে অন্যত্র
বিক্রয় করার ফলে বিগত ২০২২ইং সনের বন্যায় নদীর পাড় ঘেষিয়া লামনীগ্রাম উত্তর পাড় গ্রামের রাস্তায় বিভিন্ন স্থানে
ভাঙ্গন সৃষ্টি হইয়া অনেক ফসলী জমি নষ্ট হইয়াছে।
আমরা গ্রামবাসী বার বার বিবাদীগনকে বালু উত্তোলনে বাধা নিষেধ, করিলে বিবাদীগন আমাদের কথার কর্ণপাত না করিয়া বীরধর্পে বালু উত্তোলন অব্যহত রাখিয়াছে।
এই অবস্থায় গত ১৭/১০/২০১৪ইং সকাল অনুমান ৭:০০ ঘটিকার সময় বিবাদীগন সহ তাহাদের সংগীয় ৮০/৯০জন বিবাদী ৪০/৫০ টি নৌকা যোগে নয়াগাং নদী নিয়া দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়া অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা শুরু করিলে আমি সহ গ্রামের লোকজন ঘটনাটি দেখিয়া বিবাদীগনকে বালু উত্তোলনে বাধা নিষেধ করিলে বিবাদীগন তাহাদের হাতে থাকা না, সেল, সুলফি ইত্যাদি অস্ত্র সস্ত্র নিয়া আমাদেরকে প্রাণের হুমকি সহ মারধর করার জন্য উদ্যত হইলে আমরা নিজেকে রক্ষা করি। বর্তমানে বিবাদীগন বালু উত্তোলন করা অব্যহত রাখিয়াছে। যাহার ফলে আমাদের গ্রামে বর্তমানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাই বিবাদীগনের সহিত যেকোন সময় দাঙ্গা হাঙ্গামা সহ এলাকার শান্তি শৃংঙ্খলা ভংগের আশংকা বিদ্যমান রহিয়াছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জৈন্তাপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি প্রশাসক ফারজানা লাবনী বলেন, আমার বরাবরে এ বিষয়ে লিখিত আবেদন দেওয়া হয়েছে। তবে নয়া গাং নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।