শিরোনাম:
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভপুরে ডিবি’র অভিযানে ৯৫০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার, গ্রেফতার-২ মনিরামপুর বাসীর সেবায় ‘আমাদের অ্যাম্বুলেন্স টানা পঞ্চমবার জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে প্রথম দুমকি উপজেলা তেরখাদায় আজিজুল বারী হেলালের. বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে ঐক্যের ডাকে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলায় অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান আজকে রায়ে আমি খুশি এখন বিচার দেখতে চাই— শহীদ আবু সাঈদের বাবা নবম পে-স্কেলের দাবিতে পবিপ্রবিতে কর্মচারী ফেডারেশনের মানববন্ধন প্রতিপক্ষের দেয়া আগুনে পুড়ে ছাঁই হলো মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলামের বসতঘর আমাদের প্রত্যাশাই হচ্ছে মানুষের সেবা, এলাকার উন্নয়ন সাধন করা সাবেক এমপি মিলন
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
নোটিশ :
সারাদেশে জেলা, উপজেলা ও ক্যাম্পাস প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে....। আগ্রহীগণ যোগাযোগ করুন:  01911179663

দিঘলিয়ায় নিখোঁজের তিন দিন পর শিশু জিসানের মরদেহ উদ্ধার, এলাকায় শোকের ছায়া , ঘটনার মূল আসামি ফয়সালকে আটক করেছে।

Reporter Name / ৬০ Time View
Update : শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫

 

আবিদ আজাদ দিঘলিয়া প্রতিনিধি :দিঘলিয়ার দৌলতপুর খেয়াঘাট সংলগ্ন মন্ডল জুট টেক্সটাইল মিলের কলোনিতে নিখোঁজের তিন দিন পর ৭ বছর বয়সী শিশু জিসানের মরদেহ উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী দিঘলিয়া কন্টিনজেন্ট ও দিঘলিয়া থানা পুলিশ।

নিহত জিসান (৭) মন্ডল জুট মিলের ম্যাকানিক্যাল বিভাগের শ্রমিক আলমগীর হোসেনের ছেলে। তারা মিলের কলোনি এলাকার বাসিন্দা। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জিসান বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি ও স্থানীয়ভাবে মাইকিং ও পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেও শিশুটির কোনো সন্ধান মেলেনি।

গতকাল শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নৌবাহিনী ও দিঘলিয়া থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে দৌলতপুর খেয়াঘাট সংলগ্ন একটি টিম ঘেরা বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে মাটিতে গর্ত করে পোতা ও পাতা ও ডালপালা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় জিসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশ সূত্রে জানা যায় আব্দুল হান্নানের পুত্র ফয়সাল (২৭) কে খালিশপুর থানা পুলিশ আটক করে এবং তার দেওয়া তথ্য মতে শিশু জিসান (৭) এর লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, বাড়িতে বসবাস করতেন মোঃ আব্দুল হান্নান শেখ ও তার ছেলে। আব্দুল হান্নান শেখের দেয়াড়া-দৌলতপুর খেয়াঘাট এলাকায় একটি মুদি দোকান রয়েছে। ঘটনার পর থেকে দোকান বন্ধ এবং বাড়িতে তালা ঝুলতে দেখা যায়। উদ্ধারকৃত মরদেহটি বাড়ির পূর্ব- উত্তর কোনায় মাটির নিচে পুঁতে রাখা ছিল। শিশুটির দুই হাত পেছনে বাঁধা অবস্থায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন পাওয়া গেছে।নৌবাহিনী ও দিঘলিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা মরদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে অপহরণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে হত্যার সঠিক কারণ জানা যায় নি।
ঘটনার পর পুরো এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোক ও ক্ষোভের ছায়া। এলাকাবাসী এ ঘটনায় জড়িত দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। ছেলের পিতা মোঃ আলমগীর জানান, আমি মন্ডল জুট টেক্সটাইল মিলের মেকানিক্যাল বিভাগের শ্রমিক। বৃহস্পতিবার থেকে আমার ছেলেকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। এ বিষয়ে থানায় জিডি ও মাইকিং করা হয়েছে। গতকাল পুলিশ ও নৌবাহিনী যৌথ প্রচেষ্টায় আমার ছেলের লাশ খুঁজে পেয়েছি। আমি আমার সন্তানের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ অঞ্চল সাইফুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, গত বৃহস্পতিবার দিঘলিয়া থানায় শিশু নিঁখোজ মর্মে জিডির ভিত্তিতে একটা বাড়ির ভেতরে পুতে রাখা অবস্থায় গতকাল শনিবার বিকালে উদ্ধার করি এবং লাশ উদ্ধার পরবর্তী পদক্ষেপ চলমান রয়েছে। অপরাধী ফয়সালের বিরুদ্ধে এর আগেও লোমহর্ষক একাধিক ঘটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category