রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, পশ্চিমবঙ্গ
আজ ২৯ শে জানুয়ারী বুধবার, সকাল থেকেই গ্রামবাসীদের ভীড়, মেদিনীপুর জেলার রামগড় থানা এলাকায়, ছোট্ট শিশুকে অমানবিক ভাবে মেরে মাঠের মধ্যে ফেলে আসে মৃত জেনে মা ও সৎ বাবা,
দ্বিতীয় বিয়ে করে নতুন স্বামীর সাথে নির্ঝঞ্ঝাট ঘর বাঁধতে, মায়ের কাছে নিজের ছোট্ট শিশুই পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেই পথের কাঁটা সরাতে গভীর রাতে শিশুকে ঘুম থেকে তুলে মুখ বেঁধে এলো পাথারী মার দেন নিজের মা ও সৎ বাবা।
শিশুর মৃত্যু নিশ্চিত জেনে স্বামী স্ত্রী একটি ফাঁকা বাদাম চাষের মাঠে ঝোপের আড়ালে রাতের অন্ধকারে ফেলে দিয়ে আসে। সারা রাত্রি জ্ঞানহীন শিশু ঠান্ডার মধ্যে পড়েছিল মাঠে। ভেবেছিল রাতেই শেয়াল টেনে ছিঁড়ে খেয়ে দেহ লোপাট করে দেবে।
কিন্তু শিশুটির ভাগ্যের জোরে, টানা প্রায় ৮ ঘণ্টা পর সকালে জ্ঞান ফিরে আসে, সারা রাত্রি তাকে লাল পিঁপড়ে কামড়ে খেয়েছে।
কিছুটা দূরে একটি বাড়িতে শিশু নিজেই গুরুতর আহত অবস্থায় কোন রকমে কাঁদতে কাঁদতে পৌঁছায়, আর ওই বাড়ির লোককে দেখে জল একটু খেতে চেয়ে ফের উঠোনে মুচ্ছা যায় শিশুটি। দুটো হাত ভাঙ্গা,গায়ে পায়ে একাধিক আঘাতিক চিহ্ন, মাথায় ফোলা আঘাতের চিহ্ন সহ রক্তাক্ত শিশুকে দেখেই শিউরে উঠেন ওই পরিবারে লোকেরা।
এই লোমহর্ষক চাউল হতেই সকাল থেকে গ্রামবাসীরা ছুটে আসেন, এরপর হার কাঁপানো নির্মম অমানবিক ঘটনা প্রকাশ্যে আছে, উত্তেজীত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। ঘটনা স্থলে রামনগর থানার পুলিশ এসে হাজির হয়, সমস্ত ঘটনা শোনার পর শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হসপিটালে পাঠানো হয়। গ্রামবাসীরা দোষীদের শাস্তি চান এবং গ্রেফতারের দাবী জানান। সারারাত এইরকম অবস্থায় ঠান্ডার মধ্যে থেকেও পুনর্জন্ম ফিরে পেল। এবং শিশুটি দীর্ঘায়ু কামনা করলেন সকল গ্রামবাসী।