রানা ইসলাম,বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরে বদরগঞ্জে কালুপাড়া ইউনিয়ন বৈরামপুর গ্রামে আদালতের আদেশ অমান্য করে হাফিজা খাতুন নামে এক নারীর কবলাকৃত ৩৬শতক জমিতে রাতের আধারে ৫শতাধিক বিভিন্ন জাতের আম গাছের চারা উপড়ে ফেলেন সাহাবুজ্জামান কাছু নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ।
পরে ঐ জমিতে কাছু নিজেই চাষাবাদ শুরু করেছেন।অভিযুক্ত কাছু একই গ্রামের মৃত সামসুল হক মাস্টার ছেলে। ফলে হাফিজা খাতুন এর প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেন কাছু ও তার লোকজন।হাফিজা খাতুন শংকুরপুর বড়ইবাড়ি গ্রামের নুরুল ইসলাম স্ত্রী।নুরুল ইসলাম বদরগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ছিলেেন।
হাফিজাখাতুনের বরাতে ও আদালত সূত্রে জানা যায়, বিরোধ পূর্ন ঐ ৩৬শতক জমি কাছু নিজের কবলাকৃত দাবি করে গত ২১/৪/২৪ইং তারিখে আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে আদালত বদরগঞ্জ থানায় একটি আদেশনামা পাঠায়।পরে থানার সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই শহিদুল ইসলাম বিরোধপূর্ন ৩৬শতক জমির মাঝখানে একটি লাল নিশানা দেয়।এবংদুই পক্ষকে ওই গুরুত্বপূর্ণ জমিতে যেতে নিষেধ করেন এবং স্থিতিশীলতা বজায় থাকতে বলে কিন্তু গত ২৬জুন কাছু আদালতে আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে নিজেই জমিতে চাষাবাদ শুরু করেছেন।
হাফিজা খাতুন দলিল সূত্রে জানা গেছে, জমির খতিয়ান নং১০৭৮ দাগনং ৪৯৪মোট ৯৮ শতক জমি।হাফিজা খাতুন অভিযোগ করেন,দীর্ঘদিন ধরে কাছুর পিতা সামসুল হক মাস্টার এই জমিগুলো চাষাবাদ করে আমাকে সমান ভাগ করে ফসল দিয়েছিলো কিন্তু সামসুল মাস্টার মারা যাওয়ার আগে আমাকে আমার ৮৫ শতক জমি বুঝে দেয় আর অবশিষ্ট ১৩শতক জমি তার ছেলে কাছুকে দেয়। এরপর সামসুল মাস্টার মারা যায়।৮৫শতক জমির মধ্যে ৪৯শতক জমি কাছুর সৎ দুই বোন ফেন্সি বেগমও শিরিন বেগম কাছে আমি বিক্রি করি।আর অবশিষ্ট ৩৬ শতক জমি নিজের দাবি করে কাছু আদিয়ার হিসেবে করে খেলেও কোন প্রকার ফসল আমাকে দেয়না।
অভিযোগের বিষয়ে সাহাবুজ্জামান কাছু বলেন,আমার জমিতে আমি চাষাবাদ করছি।আমি কারো জমিতে চাষাবাদ করিনি।সাংবাদিক কাছুকে প্রশ্ন করেন আপনি তো নিজেই গত ৪ই এপ্রিল আদালতে যেয়ে ১৪৪জারি করেন এই ৩৬শতক জমির উপর কিন্তু এখন কেনো আদালত আদেশ অমান্য করছেন জবাবে কাছু বলেন থানা থেকে পুলিশ এসে আমাকে কিছু বলেনি।