রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর
মাঘের শীতেই রংপুরের বদরগঞ্জে আমবাগানের গাছে গাছে এবার অনেক মুকুল এসেছে।বাতাসে মুকুলের ম-ম ঘ্রাণ। কয়েক দিনের কুয়াশা ছাড়া আবহাওয়া আমের অনুকূলে। মুকুলের আধিক্য দেখে বাম্পার ফলনের আশা করছেন আমচাষি।
বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষিবিদরাও। তাঁরা বলছেন, এখন পর্যন্ত আবহাওয়া আম চাষের অনুকূলে রয়েছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে।
সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে আমবাগানগুলোতে যেয়ে দেখা যায়, গাছে গাছে মুকুলের সঙ্গে ফুলে ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন আর ঝিঝি পোকার শব্দে এলাকা মুখরিত হতে শুরু হয়েছে। এ অঞ্চলের বিখ্যাত সুস্বাদু মিষ্টি আম হাড়িভাঙ্গা জুড়ি নেই। এই আমটি খেলে মন প্রাণকে শীতল করে দেয়।এছাড়াও মিশ্র ভোগ,ফজলি,বারি ৪, আম্রপলি,ল্যাংড়া জাতের আম উৎপাদন হয়।
ওসমানপুর শৌলারপাড় গ্রামের শিবলী রহমতুল্লাহ বলেন,আমার আমার ৫বিঘা জমিতে সাড়ে পাঁচশো আমের গাছ রয়েছে। মুকুল আসার আগে গাছের পরিচর্যা করতে হয়।নিয়মিত স্প্রে ও সেচ দেওয়া শুরু হয়েছে। তাই গানগুলোতে মুকুল ভালোই এসেছে। আশা করে এবছরের আমের বাম্পার ফলন হবে।
রামনাথপুর ইউনিয়ন গড়ডাংঙ্গী এলাকায় হাসিনুর প্রামানিক বলেন,আমার দেড় একর জমিতে আম বাগানে রয়েছে। আমগাছগুলোতে সঠিক পরিচর্যার করাতে বাগানে অনেক মুকুল এসেছে। আবহাওয়া যদি সঠিক থাকে তিনি ভালো ফলনের আশা করছেন।
কালুপাড়ার ইউনিয়ন মধ্যপাড়া গ্রামে আম চাষি সোলায়মান মিয়া বলেন, আমবাগানে গাছে গাছে অনেক মুকুল দেখে মনটা ভালো লাগছে। এমুকুল টিকে থাকলে এবার বাম্পার ফলন হবে। তিনি আরো বলেন,ঘন কুয়াশায় দেখা দিলে আমের মুকুল পচে নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে।তবে এবার ঘন কুয়াশার সঙ্গে রোদও দেখা যাচ্ছে।
বদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকতা সেলিনা আফরোজ বলেন,উপজেলা ৮৫৮ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে আমের বাম্পার ফলন সম্ভবনা রয়েছে।