রানা ইসলাম,বদরগঞ্জ(রংপুর)প্রতিনিধি: রংপুরে বদরগঞ্জ উপজেলার যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা ফিন্দিউল হাসান চৌধুরী শান্তু।তিনি দীর্ঘদিন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক পদে দায়িত্বে আছেন। তিনি বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।ইউপি চেয়ারম্যান শান্তু চৌধুরী সাবেক এমপি ডিউক চৌধুরী আপন চাচাতো ভাই ও সদ্য সাবেক পৌর মেয়র টুটুল চৌধুরী ছোট ভাই। প্রভাবশালী এই নেতার বিরুদ্ধে বিষ্ণুপুর চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে দায়িত্বে আছেন।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো কালিগন্জ উচ্চ বিদ্যালয়,লালবাড়ি দাখিল মাদ্রাসা, খালিশা হাজীপুর দাখিল মাদ্রাসা, বদিউজ্জামাল উচ্চ বিদ্যালয়,।
এলাকাবাসী ও কয়েকজন বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশ না করার শর্তে সহকারী শিক্ষক বলেন,শান্তু চৌধুরীর চাচাতো ভাই সংসদ সদস্য ডিউক চৌধুরী ও আপন বড় ভাই আহসানুল হক চৌধুরী টুটুল পৌর মেয়র থাকাকালীন সময়ে তিনি বিধিলংঘন করে একাই চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হন।এরপর প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোটি টাকার মতো নিয়োগ বানিজ্য করেন তিনি।সেই নিয়োগ বানিজ্য টাকা শান্তু চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট নেতাদের পকেটে যেতো।
বিষ্ণুপুরের কালিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবাস চন্দ্র রায় বলেন, আমার বিদ্যালয়ে চলতি বছরে ল্যাব সহকারী, আয়া,অফিস সহকারী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে নিয়োগ হয়।ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শান্তু চৌধুরী নিয়োগ বোর্ডের প্রধান ছিল।তিনি বলতে পারবেন কতটাকা নিয়োগে প্রার্থীদের কাছ থেকে নিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক আরো বলেন,অবশ্য নিয়োগের কিছু টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ে চারটি শ্রেণিকক্ষসহ ও শহীদ মিনার নির্মান করেছেন বলে দাবী করেন।
লালবাড়ী দাখিল মাদ্রাসা সুপার আবু মুসা, এ প্রসঙ্গে কথা বললে তিনি শুধু মাদ্রাসা সভাপতি পদে শান্তুু চৌধুরী রয়েছেন।নিয়োগ বিষয়ে কথা বললে তিনি এড়িয়ে যান।
বদিউজ্জামাল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মাহমুদ চৌধুরী মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে ফোন রিসিভ করেননি।
খালিশা হাজিপুর দাখিল মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষক মোকলেছুর হক বলেন,শান্ত চৌধুরী বিগত দুই বছর রানিং সভাপতি ছিলেন।বর্তমান এই প্রতিষ্ঠানের এ্যাডহক কমিটি রয়েছে।নিয়োগের বিষয় তিনি ইউপি চেয়ারম্যান শান্তু চৌধুরী সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
এবিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকতা এনায়েতুর রহমান বলেন,মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বিধিতে বলা আছে এক ব্যক্তি চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সভাপতি দায়িত্ব পালন করতে পারেনা।তিনি এটা সম্পূর্ণ বিধি লঙ্ঘন করেছেন।আমি খোঁজ নিচ্ছি এ কথা বলে মুঠোফোন সংযোগ কেটে দেন।
বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা নাজির হোসেন বলেন, এক ব্যক্তি এতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করার সময় পান কিভাবে। বিষয়টি নিয়ে কেউ আমাকে অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।