রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর
রংপুরে বদরগঞ্জে ফুলকপি ও পাতা কপির দাম এতটাই কমেছে যে,কৃষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে।ক্ষেত থেকে প্রতি পিস ২- ৩টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা।সেই কপি কিনে ব্যবসায়ীরা বাজারে বিক্রি করছেন ৪-৫টাকা পিস।শীত মৌসুমের শুরুতেই ফুলকপি ৭০-৮০টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর পাতা কপি ৬০-৭০বিকি হয়েছে। সেখানে এখন প্রতি পিস মাত্র ২-৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এতে উৎপাদন খরচ না ওঠায় এবং অনেক কৃষক ক্ষেতে কপি ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছে। আবার অনেকে গবাদিপশুকে খাওয়াচ্ছেন।লোহানীপাড়ার ইউনিয়ন কাঁচাবাড়ি সন্ধ্যায়ার ডাঙ্গা গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, এবার ৩০শতক জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। সার,চাষ,চারা,ইত্যাদি পিছনে খরচ হয়েছেন ১৩হাজার টাকা। সঠিক দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ৮হাজার টাকার মতো।কালুপাড়ার ইউনিয়ন শংকুরপুর পাঠানপাড়া গ্রামে কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন,বাজারে ফুলকপি ও পাতাকপি এত কম দাম বাজার।জমি থেকে বাজারে নিয়ে যেতে যে খরচ হবে সেই টাকা উঠায় ধকফক।তিনি আরো বলেন, আগে যদি জানতাম কপির বাজার এত মন্দা যাবে তাহলে আবাদ করতাম না।জমিতে এর চেয়ে সরিষা আবাদ করলে ভালো টাকা পাওয়া যেতো।
বদরগঞ্জ পৌরশহরে বাজারে কাঁচামাল ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন,শীতকালীন সবজি অন্য অন্য বারের চেয়ে এবার দাম কম।ফুলকপি ৫টাকা পিস বিক্রি করছি।অন্যদিকে পাতা কপি ছোট বড় ৮-১০ টাকায় বিক্রি করছি।
স্কুল শিক্ষক আশুতোষ রায় বলেন,শীতকালীন অন্যতম মজাদার সবজি ফুলকপি, পাতাকপি,। বর্তমানে বাজারে এগুলো দাম কম হওয়ায় ২দিন ৩দিন পরপর কিনে থাকি।সারাবছর দাম সস্তা থাকলে আমাদের জন্য ভালো হয়।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকতা সেলিনা আফরোজ বলেন,এবছরে আবাদ বেশি হওয়ায় বাজারে কপির সরবরাহ বেড়েছে। ফলে দাম পড়ে গেছে। এতে কৃষকরা তাদের উৎপাদন খরচ তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন।
রানা ইসলাম
২/২/২৫