রানা ইসলাম,বদরগঞ্জ,(রংপুর)প্রতিনিধি: রংপুরের বদরগঞ্জে নিলুফা ইয়াসমিন (২৯) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের দাবি নিলুফা ইয়াসমিন আত্মহত্যা করেছেন। তবে ঘটনার পর পরিবারের লোকজন নিলুফা ইয়াসমিনকে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রহস্যজনক এ মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গতর (৩১ ডিসেম্বর)২০২৩সালে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছোট হাজীপুর তেলিপাড়া গ্রামে।
ফেসবুক লিংক https://www.facebook.com/profile.php?id=61561797107011&mibextid=ZbWKwL
এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে পারিবারিকভাবে নিলুফা ইয়াসমিনের সঙ্গে একই এলাকার আব্দুল হাই মেম্বারের ছেলে সাইদার রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয়। পরিবারে নিরব (৮) ও সায়মা (৬) নামে এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। সুখেই চলছিল তাদের সংসার। ঘটনারদিন গত রবিবার সাইদার রহমান শ্বশুড়বাড়ীতে জানায় নিলুফা আত্মহত্যা করেছে। জানতে চাইলে তারা বলেন, লাশ হাসপাতালে রয়েছে। এ অবস্থায় হাসপাতালে গিয়ে মেঝেতে লাশ পাওয়া যায়। পরে সাইদার রহমানের পরিবারের লোকজন বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে চেষ্টায় চালায়। নিহতের চাচাতো ভাই সাদিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে নিলুফার লাশ নিয়ে যাওয়া চেষ্টা চালানো হয়। এতে সন্দেহ হলে আমাদের আত্মীয়-স্বজনরা জরুরী ৯৯৯ এ ফোন করলে বদরগঞ্জ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে রাতে থানায় নেয়। সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া সাপেক্ষে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব বলে জানান তিনি।
নিহতের দেবর মেহেদী হাসান সুজন বলেন, ‘আমার জানা মতে ভাই-ভাবির দাম্পত্য জীবন ভালোই চলছি। এখন কি কারণে ভাবি ঘরের ভেতর গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিলো তা বলেতে পারছি না। তবে রবিবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সামান্য বিষয়ে কথাকাটাকাটি হয় বলে শুনেছি। হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, এখন যেহেতু তাদের মেয়ে। তারা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করাসহ হত্যার অপবাদ দিতেই পারে।
ইউটিউব https://www.youtube.com/@ebnews24
বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শাকির মোবাশ্বির বলেন, ‘সাতমাস,আগের ঘটনা আমার জানামতে ঐ গৃহবধূকে মৃত্যু অবস্থায় হাসপাতালে লাশ নিয়ে আসা হয়। সঙ্গে নিহতের কোন স্বামী কিংবা নিকট আত্মীয়কে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশি একজন মহিলা মরদেহ নিয়ে হাসপাতালে আসে। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলে গলায় দাগ কিংবা আঘাতের চিহৃ পাওয়া যেত। কিন্তু নিহতের গলায় কোন চিহৃ দেখা যায়নি। পরে পুলিশকে জানানো হলে পোস্টমর্টেমের জন্য মরদেহ নিয়ে যায়।’
বদরগঞ্জ থানায় এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়।ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে জানিয়েছিলেন ওসি লতিফ মিয়া।
দীর্ঘ ৭মাস চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ নিলুফা ইয়াসমিন হত্যা মামলাটি ময়নাতদন্তের যাচাই বাছাই পর শ্বাসরোধে হত্যার প্রমান মেলে।
বদরগঞ্জ থানার আবু হাসান কবির বলেন,ময়নাতদন্তের রিপোর্টে শ্বাসরোধ হত্যা পাওয়া যায়।এ ঘটনায় শনিবার দিবাগত রাতে সহিদারকে আটক করা হয়েছে। পরে ১৬৪ধারায় তাকে রংপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।