শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২২ অপরাহ্ন
নোটিশ :
সারাদেশে জেলা, উপজেলা ও ক্যাম্পাস প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে....। আগ্রহীগণ যোগাযোগ করুন:  01911179663

বদরগঞ্জে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনাও জুয়ার রমরমা ব্যবসা,পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা অভিযোগ

Reporter Name / ১৬৫ Time View
Update : বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪

রানা ইসলাম,বদরগঞ্জ(রংপুর) গত ৫আগস্ট অনেক ছাত্র জনতার শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছেন অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠী হাত থেকে।

ছবি:সংগৃহীত  এরপর বাংলাদেশ আপামর মানুষ নতুন স্বপ্ন মনে এঁকেছিল। এবার বাংলাদেশ একটি নতুন মাত্রায় অধ্যায় রচনা হবে।কিন্তু গত ৫আগস্টের পর পুলিশের কার্যক্রম মনোবল দূর্বল ভেবে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা হচ্ছে ,যেখানে সেখানে অবাধে জুয়ার রমরমা ব্যবসা চলছে।গত একসপ্তাহে উপজেলা বিভিন্ন এলাকার ঘুরে তথ্য সূত্রে জানা গেছে ভয়াবহ মাদক বিকিকিনি ওজুয়া খেলা চলছে।পৌরশহরে ষ্টেশন থেকে উত্তর দিকে ২০০গজ সামনে মাদক বেচাকেনা হয়।জানা গেছে খোরশেদ ও ঝর্না। এরা দু’জন স্বামী স্ত্রী মিলে প্রকাশ্যে হেরোইন, ইয়াবা বিক্রি করছে।সাংবাদিক পরিচয় গোপন রেখে তাদের সামনে গেলে বলে কি ভাই আপনার কি লাগবে হেরোইন না বাবা ট্যাবলেট।প্রতিদিন অনেক উঠতি বয়সে ছেলেরা এখানে সহজে আসে আর ১মিনিটের মধ্যে টাকা দিয়ে মাদক নিয়ে চলে যায়।নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্হানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন,খোরশেদ ও ঝর্না স্বামী স্ত্রী মিলে মাদকের রমরমা ব্যবসা করে আসছেন।এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেন পুলিশের সোর্স ফেরদৌস মিয়া।এবিষয়ে ফেরদৌস মিয়াকে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ভাই আমি যারা মাদক বিক্রি করে তাদেরকে ধরার জন্য পুলিশকে খবর দেই।এর বাইরে আমার আর কোন কাজ নেই। তবে খোরশেদ বলেন,পুলিশ কে মাসোহারা কিছু না দিলে এ ব্যবসা করা যেতো না।পৌরশহরে ১নং ওয়ার্ডের ছকিমুদ্দিডাংগা গ্রামে ও ভাটিয়াপাড়া এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করতে দেখা গেছে।পাশাপাশি যমুনাশ্বরী নদীর ধারে জুয়ার রমরমা খেলা চলছে।এরকম উপজেলা রাধানগর দিলালপুর এলাকা,গোপিনাথপুরের মুচিরহাটের রফিকের মোড়,ঝলঝলিপাড়া,কালুপাড়ার ইউনিয়ন গজনের মোড়,কুতুবপুরের নাগেরহাট,রোস্তমাবাদ,গোপালপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর,ময়নাকুড়ি , মধুপুর ইউনিয়ন সন্তোষপুর,লোহানীপাড়ার ইউনিয়ন মন্ডলের হাট,মাঠেরহাট আশপাশের মাদক, জুয়ার রমরমা ব্যবসা চলছে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন মাদক বিক্রেতা ও জুয়ারু বলেন,পুলিশকে ম্যানেজ করে আমাদের চলতে হয়।এই আরকি।

পৌরশহরে অভিজাত পরিবার এক অভিভাবক বলেন,ভাই আমার একমাত্র সন্তান। তাকে অনেক বুঝিয়েও মাদক থেকে সরাতে পারিনি।মাদক সেবনের জন্য টাকা না দিলে বাসায় জিনিসপত্র ভাংচুর করে।গালিগালাজ করে।বাধ্য হয়ে যখন টাকা দেই তখন চুপচাপ চলে যায়। এরকম পৌরশহরে বেশকিছু অভিভাবক সন্তানদের বিপদগামী পথ থেকে সরাতে না পেরে চিন্তিত হয়ে পড়ছে। তিনি আরো বলেন, উপজেলা প্রশাসন যদি শক্ত হাতে মাদক বিক্রেতাদের দমন না করেন তাহলে উঠতি বয়সে ছেলেরা মাদকের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে না।

পৌরশহরে ১২নং রেলঘুমটি এলাকায় মাদক সম্রাট আশরাফুল অবর্তমানে তার স্ত্রী নুরুজা বেগম সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে দেশি বিদেশি মাদক বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মধুপুর ইউনিয়ন একটি গ্রামে মধ্যবিত্ত পরিবারের এক অভিভাবক বলেন, আমার ছেলেকে অনেক চেষ্টা করেও মাদক সেবন থেকে সরাতে না পেরে।দিনাজপুর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে রাখি।এজন্য প্রতিমাসে ১২হাজার টাকা দিতে হয় তার যাবতীয় খরচের জন্য। কয়েকমাস দেওয়ার পর অর্থনৈতিক সমস্যা জন্য টাকা দিতে না পারায় ছেলেকে বাসায় নিয়ে আসি।এরপর আবার মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়ে।তিনি আক্ষেপ করে বলেন,৫ আগস্ট পর বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীন হওয়াতে মাদক চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে।এখন দেখছি আরো বেড়েছে।পুলিশের মনোবল দুর্বল ভেবে মাদক বিক্রেতারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

বদরগঞ্জ থানা ওসি তদন্ত নুরুল আমিন বলেন,অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমরা মাদক ও জুয়া কোন খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে এ্যাকশনে যাই।আপনারা সাংবাদিক ভাই এরকম কোন তথ্য পেলে আমাদের জানাবেন।

রানা ইসলাম
১৬/১০/২৪


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category