শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৩ অপরাহ্ন
নোটিশ :
সারাদেশে জেলা, উপজেলা ও ক্যাম্পাস প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে....। আগ্রহীগণ যোগাযোগ করুন:  01911179663

বদরগঞ্জে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূনীতির অভিযোগ

Reporter Name / ২০১ Time View
Update : সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

রানা ইসলাম,বদরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরে বদরগঞ্জে রামনাথপুর ইউনিয়ন আশরাফগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসা সুপার ও ম্যানোজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মোহসিনা বেগম বিরুদ্ধে অনিয়ম দূনীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত ১৯সেপ্টেম্বর এলাকারবাসীর পক্ষে সাহেদা হাসান নামে এক নারী রংপুর জেলাপ্রশাসক বরাবর ও এর অনুলিপি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন।সাহেদা হাসান স্হানীয় বাসিন্দা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,আশরাফ গঞ্জ দাখিল মাদ্রাসা সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোহসিনা বেগম,সাবেক সুপার মোফাজ্জল হোসেন ও বর্তমান দাখিল মাদ্রাসা সুপার রুহুল আমিন মিলে মাদ্রাসা বিভিন্ন সরকারি বরাদ্দকৃত উন্নয়নমূলক অনুদান আত্মসাৎ দোকান বরাদ্দ ও নিয়োগ বানিজ্য লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মাদ্রাসা জমিতে নির্মিত বিভিন্ন
দোকান ভাড়া বাবদ সিকিউরিটি বাবদ ৭৮লক্ষ টাকা নিয়ে মাদ্রাসা উন্নয়ন না করে নিজেরা সবাই মিলে ভাগ বাটোয়ারা করে নেন।এছাড়া মোহসিনা বেগম ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে থেকে ৬টি পদে নিয়োগ দিয়ে ৪৮লক্ষ বানিজ্য করেন।এ নিয়োগ বানিজ্য সহয়তা করেন মাদ্রাসা সহকারী শিক্ষক মনির হোসেন ও অফিস সহকারী আনোয়ার হোসেন।
এছাড়াও মোহসিনা ও বর্তমান সুপার রুহুল আমিন বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক ও এনজিও থেকে মোটা অংকের টাকা ব্যাক্তিগত কাজে লোন নিয়ে তা পরবর্তীতে মাদ্রাসা তহবিলের অর্থ দিয়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ করেন।

এবিষয়ে অভিযোগকারী সাহেদা হাসান বলেন,মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোহসিনা বেগম তিনি আওয়ামীলীগ করার সুবাদে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন খাতের বরাদ্দকৃত টাকা ও লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়োগ বানিজ্য করে নিজের পকেটে ভারী করেছেন।এছাড়াও মাদ্রাসা জমিতে দোকানঘরের সিকিউরিটি টাকাও আত্মসাৎ করেছেন।
এই দূনীতি সঙ্গে জড়িত মাদ্রাসা সাবেক সুপার ও বর্তমান সুপারসহ ও দুজন শিক্ষক।তিনি আরো বলেন, ঐ মাদ্রাসা মনির নামে একজন শিক্ষক তিনি হত্যা মামলার আসামী হওয়ার পরও মাদ্রাসা সকল অনিয়ম দূনীতি সঙ্গে জড়িত।এটা আমার বোধগম্য নয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে আশরাফ গঞ্জ দাখিল মাদ্রাসা সুপার রুহুল আমিন বলেন,আমি ২০২০ সালে এই মাদ্রাসা সুপার হিসেবে নিয়োগ পাই।আমার আমলে এসব কোন দূনীতি অভিযোগ উঠার প্রশ্নই আসে না। আগে কি হয়েছে তা আমি জানিনা।

এবিষয়ে রংপুর জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতা এনায়েতুর রহমান বলেন,ঐ মাদ্রাসার অনিয়ম দূনীতি সম্পর্কে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

রানা ইসলাম
২৩/৯/২৪


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category