রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর
রংপুরে বদরগঞ্জে এক মৎস্যজীবি সেচ পাম্পের জন্য আবেদন করেন উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস বরাবর ।কিন্তু স্হানীয় প্রতিপক্ষের তিন ব্যাক্তি ঐ সেচ পাম্পের আবেদনের বিরোধিতা করে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন অপপ্রচার করার অভিযোগ উঠেছে।আবেদনকারী ঐ ব্যক্তির নাম মোছাৎ সাইয়েদা খাতুন।তিনি তার স্বামীর পুকুরে মাছ চাষের জন্য এ আবেদনটি করেন।আবেদনকারী স্বামীর নাম আবুল কায়েস একজন মৎস্যজীবি।তিনি যুবউন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মৎস্যচাষী।
স্হানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে সেচ পাম্পের জন্য আবেদন ফরম থেকে ও সরজমিন ঘটনাস্থল যেয়ে জানা যায়, সাইয়েদা খাতুন নামে এক নারীর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ওসমানপুর মুন্সিপাড়া গ্রামে প্রায় তিন একর জমি রয়েছে।এর মধ্যে দুটি পুকুরে মাছ চাষের উপযোগী জন্য দুই দাগে ২০শতক ও ৪৫শতক পুকুর ভেকু দিয়ে খনন করে।সেখানে প্রথম পর্যায়ে অন্যের সেচ পাম্প দিয়ে তার স্বামী আবুল কায়েস মাছ চাষ করা শুরু করেন।কিন্তু পর্যাপ্ত আলো ও সঠিক ভাবে পানি সরবরাহ না দেওয়ার ফলে ১০মন মাছ মরে যায়।এতে মৎস্যচাষী আবুল কায়েসের ৫০হাজার টাকা লোকসান গুনতে হয়।পরবর্তীতে নিজস্ব সেচ পাম্পের জন্য গত ১১/৭/২৪তারিখে তার স্ত্রী নামে সেচ পাম্পের আবেদন করেন।সেখানে সেচ পাম্পের স্হাপনের জন্য খরচ বাবদ পল্লী বিদ্যুৎ অফিস বৈদ্যুতিক পোল ও লাইন নির্মান জামানত জন্য মোট ৫১,৮০০টাকা আবেদনকারীর কাছে থেকে নেয়।পরবর্তীতে পল্লী বিদ্যুৎ উপসহকারী জুনিয়র ইন্জিনিয়ার
সুজ্জাত ইসলাম ঘটনাস্থলে যেয়ে আরো একটি পোলের জন্য আবেদন করতে বলে।আবেদনকারী দ্বিতীয় দফায় গত ২৯/৯/২৪ইং তারিখে আবারও লাইন নির্মান,জামানত বাবদ ৫১,৮০০টাকা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসকে দেন।বর্তমানে ঐ আবেদনকারীর সেচ পাম্পের সংযোগের প্রক্রিয়া চলছে।
এবিষয়ে মৎস্য চাষী আবুল কায়েস বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে নিয়মানুযায়ী আমার স্ত্রী আবেদন করেন।অফিসের খরচ বাবদের প্রতিটি ভাওচার আমার কাছে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমি যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মৎস্য চাষী। আর প্রতিপক্ষ জাবেদ,মমিনুল, নুর ইসলাম বলেন, যে আমি অবৈধ ভাবে সেচ পাম্প সংযোগ নিচ্ছি।আমি সেচ পাম্পে আবেদন করছি শুধুমাত্র পুকুরে মাছ চাষের জন্যে।আমি সেচপাম্প বসালে তাদের সমস্যা হবে ভেবে।এজন্য আমারও স্ত্রীর নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালাচ্ছেন তারা। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।তিনি আরো বলেন এই তিনজন পল্লী বিদ্যুৎকে ম্যানেজ করে ১৪০০-১৫০০ফিট দূরত্বে অবৈধ ভাবে সেচ পাম্প বসিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছেন।তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে আসল ঘটনার রহস্য।
এবিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ উপসহকারী জুনিয়র ইন্জিনিয়ার সুজ্জাত ইসলাম বলেন, সাইয়েদা খাতুন নামে একজন নারী তার পুকুরে মাছ চাষের জন্য সেচ পাম্পের আবেদন করেছেন।বিষয়টি যাচাই বাছাই শেষ পর্বে।
বদরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) বলেন সেচ পাম্পের জন্য কেউ আবেদন করলে,দুটি পোল পল্লী বিদ্যুৎ দেয়।আর এর বেশি পোল লাগলে গ্রাহকরা দেন।এছাড়াও অফিসে নিয়মানুযায়ী ফি আছে।