রানা ইসলাম,বদরগঞ্জ(রংপুর)প্রতিনিধি: রংপুরে বদরগঞ্জে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুন্নার উপর কিশোর গ্যাং নৃশংস হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।মঙ্গলবার ৭জানুয়ারী শহীদ মিনারে সামনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের আয়োজন করে।
পরে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে থানা ফটকের সামনে জড়ো হোন।প্রায় আধাঘন্টা সেখানে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। পরে পুলিশ কর্মকর্তারা এসে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামি ধরার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে চলে যায়। । এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্য বলেন, ২৪ঘন্টার মধ্যে মুন্না ইসলামের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার না করলে থানা ঘেরাও ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হবো।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ৪জানুয়ারী পৌরশহরে বালুয়াভাটা গ্রামে মুন্না ইসলাম দুজন বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিলো।
এসময় ২০থেকে ২৫জন কিশোর গ্যাং বাহিনীরা তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।পরে স্হানীয়রা গুরতর আহত মুন্নাকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।সেখান থেকে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে।তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা দ্রুত ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।রোগীর স্বজনরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন।বর্তমানে তিনি ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় গুরতর আহত মুন্না ইসলাম খালা বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় ৯জনের নামে উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫ জনের নামে একটি মামলা করেন।
পথসভায় সুমন সর্দার নামে এক বক্তা বলেন,মুন্না ইসলাম উপর হামলার ৪দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ অজ্ঞাত কারণে কাউকে ধরতে পারছেন না। এটা পুলিশের ব্যর্থতা বলে আমি মনে করি। তিনি আরো বলেন,পুলিশের দায়িত্ব গাফলতির কারনে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বদরগঞ্জে বেড়ে চলছে।
মোনায়েম নামে এক যুবক বলেন,কিশোর গ্যাং বদরগঞ্জ থেকে হটানোর জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এজন্য আমাদের সবাইকে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে।বদরগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত নুরুল আমিন সরকার বলেন,আমরা আসামিদের ধরার জন্য সর্বোচ্চ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করতে পারবো।