রানা ইসলাম,বদরগঞ্জ(রংপুর)প্রতিনিধি: রংপুরের বদরগঞ্জে উপজেলা হাসপাতালের একমাত্র এক্সরে মেশিনটি 35 দিন থেকে ফিল্মের অভাবে বন্ধ রয়েছে।হাসপাতালের এক্সরে সেবা না পেয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন রোগীরা।কবে নাগাদ এক্সরে মেশিনটা ঠিক হবে হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না।
গতকাল বৃহস্পতিবার বুকের সমস্যা নিয়ে উপজেলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন আমরুলবাড়ি গ্রামের মনোয়ার হোসেন(৩০)কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে এক্সরে করার পরামর্শ দেন।তিনি তাৎক্ষণিক এক্সরে কার্যালয়ে গেলে তাকে বলা হয় ফিল্ম নেই। এক্সরে বন্ধ। বাধ্য হয়ে বাইরে গিয়ে এক্সরে করে চিকিৎসককে দেখান। মনোয়ার হোসেন বলেন, ১৫০টাকায় এক্সরে হাসপাতালে করা যায়। বাইরে নিয়েছে ৬০০ টাকা।হামার গরীব মানুষের এমনিতেই চলা কষ্টকর।তারপর ৪৫০টাকা বাড়তি দিয়ে বাইরে এক্সরে করতে হলো।
গত সপ্তাহে দুর্ঘটনায় উপজেলার এক সাংবাদিক আহত হয়।এতে তিনি বুকের একপাশে আঘাত পায়।তিনি উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে চিকিৎসক তাকে এক্সরে করার পরামর্শ দেন। পরে তিনি এক্সরে কক্ষে গেলে ফিল্মের কারনে এক্সরে মেশিন বন্ধ রয়েছে।পরে ঐ সাংবাদিক বাইরে যেয়ে এক্সরে করে নিয়ে আসেন।ঐ সাংবাদিক বলেন,এমনিতে আমি অর্থ কষ্টে আছি।তারপর এই সমস্যা।
রংপুর সিভিল সার্জন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে নভেম্বরে রংপুরের সাত উপজেলায় সরকারি হাসপাতালে অত্যাধুনিক ডিজিটাল এক্সরে মেশিন সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেশিনটি ফিল্মের অভাবে বন্ধ রয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বদরগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেকনোলজিস্ট রেজাউল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে অত্যাধুনিক ডিজিটাল এক্সরে মেশিনটি আমি প্রথম থেকে চালিয়ে আসছি। সপ্তাহে তিন দিন এখানে ১৫০-২০০টাকায় সেবা নিতে আসা রোগীদের এক্সরে করাতাম । এতে প্রতিমাসে সরকার রাজস্ব পেত ৩০হাজার টাকা।কিন্তু গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ফিল্মের অভাবে এক্সরে মেশিনটি বন্ধ রয়েছে।
বদরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা(টিএইচও) ডা:সুজয় সাহা বলেন,ফিল্মের সংকটের কারনে এক্সরে মেশিনটি বন্ধ বিষয়ে আমি উপজেলা মাসিক মিটিংয়ে আলোচনা করেছি উপজেলা প্রশাসনের সাথে। তারা আমাকে আশ্বাস দিয়েছে বাজেট আসলে তা দেওয়া হবে। এছাড়াও বিষয়টি ঊর্ধ্বতল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।