আজ ২৪ শে জুন মঙ্গলবার, ২৩ শে জুন সোমবার ঠিক বিকেল চারটায়, সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে, জগন্নাথ সরকারের উদ্যোগে,, এবং বন্দেমাতরম শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ফাউন্ডেশন ও সনাতনী এডুকেশন এন্ড কালচারাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন এর পরিচালনায়, বাংলার সংস্কৃতির নবজাগরণ, বন্দেমাতরাম ১৫০ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে, ধ্বনিত হল হাজারো কন্ঠে বন্দেমাতরম সংগীত। লক্ষ্য কণ্ঠে গীতা পাঠের পর, আজ সবার উপস্থিতিতে ধ্বনিত হল বন্দে মাতরম গানটি। এবং তার সাথে সাথে একটি নাটকও মঞ্চস্থ হয়, “সত্য শ্যামা প্রসাদ” ভাবনা ও পরিকল্পনায় রুদ্রনীল ঘোষ, পরিচালনায় দেবাশীষ বিশ্বাস।অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়, প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে, এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ভারতমাতা ও শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মূর্তিতে মাল্যদান ও ফুল দিয়ে সম্মান জানান।মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অতিথিদের মধ্যে পরমাত্মানন্দ মহারাজ, অশ্বিনী জি, দিলীপ ঘোষ, সজল ঘোষ, ভারতী ঘোষ সহ বিভিন্ন সাধু-সন্ততী এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নাতি সজল চট্টোপাধ্যায়।মন যে একে একে সকল অতিথিদের চন্দনের ফোঁটা ও পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মানিত করেন।
আজকের বন্দেমাতরম সংগীতের মধ্য দিয়ে, সকল কর্মী ও উপস্থিত সুবহানুধ্যায়ীদের মধ্য থেকে একটি দাবি উঠে আসে, গঙ্গার পাড়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সবচাইতে উঁচু একটি মূর্তি বসানোর, ভারত সরকারের কাছে আমাদের দাবি, আমাদের করে দিতে হবে, এবং এটি বসাবেন বলে প্রতিশ্রুতিও দিলেন।
সংক্ষিপ্ত কথার মধ্য দিয়ে, এবং হাজারো কন্ঠে বন্দে মাতরম সংগীতের মধ্য দিয়ে, কিছু কথা তুলে ধরলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপর।তাহারা বলেন ১৭৭৩ সালে সন্ন্যাসী বিদ্রোহকে উপজাত করে রচিত হয়েছিল বঙ্কিম চন্দ্রের আনন্দমঠ উপন্যাসটি, আর সেই উপন্যাসের অন্তর্ভুক্ত গান বন্দেমাতরম আজ হাজারো কন্ঠে ধ্বনিত হলো। যে গানটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় একসময় লিখে গিয়েছিলেন, যেখানে তাহার বড় মেয়ে বলেছিলেন এটা কি হবে ,তার উত্তরে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, একদিন বুঝতে পারবি নাড়া ঘাটা করলে। আজ সেই গান সবার কন্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে।