সাকিব হোসেন,পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া বন্দর ধানহাট ট্রাক ষ্টান্ড দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেটল নিক্ষেপের পর থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।আজ রোববার দুপুরে সরেজমিনে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,যে কোনো সময় দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন তাঁরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ট্রাক ষ্ট্যান্ড দখল নিয়ে গতকাল শনিবার বেলা ১১ টার দিকে বিএনপির দুই পক্ষ যেভাবে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল,তাতে মনে হয়েছিল বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।
পুলিশ এসে দুই পক্ষকে সরিয়ে দেয়।গতকালের ঘটনায় কালাইয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আরিফ হোসেন শনিবার রাতে ২১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ৩০-৪০ ব্যক্তির নামে বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেনআরিফ ট্রাক ষ্ট্যান্ড পরিচালনা কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক।স্থানীয় বাসিন্দা ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,পটুয়াখালী জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন (ট্রাক, পিকআপ, লড়ি) ও পটুয়াখালী পায়রা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড হতে গত বছরের ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর তিন বছর মেয়াদে উপজেলার কালাইয়া বন্দর ধান হাট ট্রাক ষ্ট্যান্ড এজেন্সি কার্যালয় দেওয়া হয়। ২৬ সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটির সভাপতি হলেন আশরাফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ হোসেন। সম্প্রতি দাসপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম চৌধুরীর পক্ষের লোকজন ওই কার্যালয় ও ষ্ট্যান্ড একাধিকবার দখল নেওয়ার চেষ্টা করে।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিএনপি নেতা আলী আজমের লোকজন দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই কার্যালয় ও ষ্ট্যান্ড দখল করতে যায়। তখন আরিফ ও তাঁর লোকজন বাধা দেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপে আফজাল হোসেন (৫০) ও উজ্জল হোসেন (৩৮) সহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়।ষ্টান্ড পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ হোসেন বলেন,‘বিএনপি নেতা আলী আজমের পক্ষে কোনো কাগজপত্র নাই। তিনি গায়ের জোরে ষ্টান্ড দখল করতে চান। আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে আইনি সহায়তা চেয়েছি।’অভিযোগ অস্বীকার করে দাসপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম চৌধুরী বলেন,‘যিঁনি (আরিফ) অভিযোগ দিয়েছেন তিনি বিএনপির কেউ না।
বিগত দিনে তিনি যুবলীগ নেতার দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেছেন। এখন বিএনপিতে সুকৌশলে অনুপ্রবেশ করে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষে তাঁকে ও বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করছেন।’ বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন,‘এক পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া যাতে ওই এলাকায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি না হয়, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে