নিহারেন্দু চক্রবর্তী,নাসিরনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার বিজয়নগর উপজেলার সেমরা গ্রামের ও বর্তমানে ঢাকা গুলশান-১ টিভি গেইট এলাকায় বসবাসরত ৩৩ বছর বয়সী সাবিনা ইয়াসমিন নাম এক নারীকে বিয়ের প্রলোভনে কর্মস্থল সিলেটে নিয়ে রিসোর্টে রেখে পর পর কয়েকবার ধর্ষণের অভিযোগে এক আওয়ামীলীগ নেতার পুত্রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গত ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ রাতে ভিকটিম বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা আ. লীগ এর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ও নাসিরনগর উপজেলার ১৩ নং ধরমন্ডল ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাহার উদ্দিন চৌধুরীর পুত্র, সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর থানার খাদ্য পরিদর্শক (ফুড ইনেসপেক্টর) ফাহিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এসএমপির অধীন সিলেট শাহপরাণ থানায় মামলা করেছেন।
জানা গেছে আওয়ামী লীগ নেতা বাহার উদ্দিন চৌধুরীর পুত্র ও খাদ্য পরিদর্শক ফাহিম চৌধুরী সাবিনা ইয়াসমিনকে (৩৩) প্রেম নিবেদন করে। কিন্তু সাবিনা প্রেমের প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে। পরে ফাহিম ওই নারীকে বিয়ে করবেন বলে প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং গত ২৭/১০/২০২৪ ইং তারিখে ঢাকা থেকে দুই ঘন্টার জন্য ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের টিকেট পাঠিয়ে দেখা করার জন্য কাকুতি মিনতি করে সিলেট নিয়ে আসে এবং সিলেট ওসমানী বিমান বন্দর থেকে সিএনজি করে শাহপরান থানাধীন সুরমাগেইট এলাকার দলইপাড়াস্থ এক্সিলারেটর এন্ড রিসোর্টের ২ য় তলার ২২২ নম্বর রুমে উঠায় এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২৯/১০/২০২৪ পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে মোট পাঁচবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় ।এতে সাবিনা ভীষণ অসুস্থ্য হয় ও তার প্রচুর রক্তপাত ঘটে। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফাহিম অসুস্থ্য সাবিনাকে ২ নভেম্বর তারিখে বিবাহ করবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সিলেট থেকে বাড়ি পৌছে দিতে এনা গাড়িতে তুলে দেয়।
এরপর ৬ নভেম্বর একশত বরযাত্রীসহ বিয়ের তারিখ নির্ধারন করে।এ উপলক্ষে বিয়ের সকল আয়োজন সম্পন্ন করতে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়।আত্মিয় স্বজন সহ পাড়া প্রতিবেশীকে নিমন্ত্রন করা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট তারিখে ফাহিম চৌধুরী ও তার বাবা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা বাহার উদ্দিন চৌধুরী সহ পুরো পরিবার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।এতে সাবিনা ও তার পরিবার মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হয়।
বর্তমানে খাদ্য পরিদর্শক ফাহিম চৌধুরী ও তার পিতা
আ.লীগ নেতা বাহার উদ্দিন চৌধুরী তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে পলাতক রয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসএমপির অধীন শাহপরাণ (রঃ) থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনির হোসেন বলেন, মামলার বিষয়টি সঠিক, বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলছে।