শিরোনাম:
দিঘলিয়ায় পূর্ব কলহের জের ধরে চিহ্নিত দুর্বৃত্তদের হামলায় দুই ভাইকে রক্তাক্ত জখম নড়াইলের লোহাগাড়া থানার ওসি আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান যুবদল কর্মী গ্রেফতার খুলনায় দুই সাংবাদিকের উপর হামলা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ, বাংলাদেশ জার্নালিস্ট প্রটেক্ট কমিটির বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল, বাহরাইন শাখার আয়োজনে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উদযাপন পালিত  ছাতকে ইসলামপুর ইউনিয়ন যুব ও সমাজ কল্যাণ সংস্থার নতুন পরিষদের অভিষেক সম্পন্ন ছাতকে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে ছাঁই হলো খড়ের ঘর গরমে পুড়ছে মোংলা, অতিষ্ঠ জনজীবন আজ যখন সাংবাদিকতা নানান চ্যালেঞ্জের মুখে নড়াইলের কালিয়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে শুটারগান ও দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার রাজিবপুরে ৩০ পিছ ইয়াবাসহ যুবক আটক
সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন
নোটিশ :
সারাদেশে জেলা, উপজেলা ও ক্যাম্পাস প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে....। আগ্রহীগণ যোগাযোগ করুন:  01911179663

ভূরুঙ্গামারীতে তিন বছরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক ইঞ্চি বাঁধ নির্মাণ করতে পারেনি

Reporter Name / ২৫ Time View
Update : শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে তিন বছরে এক ইঞ্চি তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করতে পারেনি এসএ-এসআই প্রা. লি. এন্ড টিআই জেভি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় ওই এলাকার মানুষের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাঁধ নির্মাণের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে অতিরিক্ত আরও দেড় বছর পেরিয়ে গেছে। এছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছে, কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার নদের ভাঙন ঠেকাতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড দুধকুমার নদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে। এই প্রকল্পের আওতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি গত ২০২২ সালের ১ মে ভূরুঙ্গামারীর তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাট গোপালপুর গ্রামে ১০ কোটি ২৫ লাখ ৯১ হাজার ৩০ টাকা ব্যয়ে ৫০০ মিটার তীর সংরক্ষণ বাঁধ (প্যাকেজ নম্বর-১০) নির্মাণ কাজ শুরু করে। বাঁধ নির্মাণের নির্ধারিত সময় ধরা হয়ছিল ১৪ মাস। যা ২০২৩ সালের ২৯ জুন সমাপ্ত হওয়ায় কথা ছিল। বাঁধ নির্মাণ শুরুর পর প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হলেও এ পর্যন্ত এক ইঞ্চি বাঁধ নির্মিত হয়নি।
ভাঙন কবলিত ওই স্থানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জরুরি ভিত্তিতে কিছু জিও ব্যাগ ফেলে। এরপর বাঁধ নির্মাণের জন্য কিছু সি.সি ব্লক তৈরি করে ফেলে রাখে। পরে গত বছরের মার্চের মাঝামাঝি বাঁধ নির্মাণ শুরু না করে প্রতিষ্ঠানটি লোকজন উধাও হয়ে যায়।
ভাঙন কবলিত বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন বলেন, তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ শুরু হলে দুধকুমার নদের তীরে বসবাস করা মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছিল। কিন্তু এক বছর যাবত বাঁধ নির্মাণ বন্ধ থাকায় তীরে বসবাস করা মানুষের মনে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জেসমিন বেগম ও মর্জিনা বেগম বলেন, কিছুদিন পড়ে বর্ষা আরম্ভ হবে। এর আগে বাঁধ নির্মাণ শেষ না হলে আমাদের আবারও নদী ভাঙনের শিকার হতে হবে। আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।
ভাঙন কবলিত এলাকার মুদি দোকানী আব্দুল হালিম বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যানেজার বিভিন্ন ভাবে তের হাজার টাকা নিয়েছে। ফোন দিলে ফোন ধরে না।
স্থানীয় বাসিন্দা পাপ্পু বলেন, ঠিকাদারের লোকের নিকট বেশকিছু টাকা পাবো।
মিজানুর রহমান বলেন, বাঁধ নির্মাণ কাজ বন্ধ, নদী যদি আবার ভাঙে তাহলে আমাদের কি হবে?
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএ-এসআই প্রা. লি. এন্ড টিআই জেভির কেউ প্রকল্প এলাকায় না থাকায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বাঁধ নির্মাণের জন্য তাদের সাথে আলোচনা চল


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category