রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর
রংপুরে বদরগঞ্জে লালদিঘি এলাকায় মাত্র তিনশ গজের মধ্যে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ১৩টি কিন্ডারগার্টেনসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা। অভিভাবকদের বিভিন্ন প্রলোভোন দেখিয়ে তাদের ছেলেমেয়েদের এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাচ্ছেন বিভিন্ন স্কুল কতৃপক্ষের লোকজন। আর ভর্তি ফি আদায়ের নামে অভিভাবকদের পকেট কাটা হচ্ছে।প্রশাসনিক কর্মকতাদের তদারকির অভাবে এমন বানিজ্য হচ্ছে বলে জানা গেছে।এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল মেধা বিকাশ,নুরানী কিন্ডারগার্টেন স্কুল অফ হলি কোরআন।লাইসিয়াম কিন্ডারগার্টেন, লালদিঘি ওয়াকফ এস্টেট উচ্চ বিদ্যালয়,ওয়াকফ্ এসেস্ট নুরানী কিন্ডারগার্টেন, মৌয়াগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,নিডস কিন্ডারগার্টেন, খাদিজাতুল কোবরা কিন্ডারগার্টেন, লালদিঘি মডেল স্কুল,
বুদুরডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসা, আল মদিনা কিন্ডারগার্টেন,। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালীন প্রশাসন এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমোদন সুপারিশ করেছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক বলেন,এটা কিভাবে সম্ভব। মাত্র তিনশ গজের মধ্যে এতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।তিনি আরো বলেন, যত্রতত্র এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার মান নিয়ে সংশয় আছে।এখনো সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের এই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা না নিলে ভবিষ্যতে মুখ থুবড়ে পড়বে শিক্ষার ব্যবস্থা।
স্হানীয় আশরাফুল নামে এক যুবক বলেন,জানুয়ারি মাস শুরুর দিকে বাসায় ভিড় জমায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। তারা আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করার জন্য অনুরোধ করেন।
জানতে চাইলে লাইসিয়াম রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোদাচ্ছের আলি,আমাদের স্কুলটি অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী ধারা পাঠদান করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির পরিবেশ অত্যন্ত ভালো।যুগোপযোগী পাঠদান পাশাপাশি ক্লাস পরিক্ষা নিয়ে থাকি।
মৌয়াগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমার বিদ্যালয়ে ৫০০জন শিক্ষার্থী ছিলেন।বর্তমানে তা অনেক কমে এসেছে। কারন একটা তিনশ গজের মধ্যে যত্রতত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন,বিষয়টি আমি জানতাম না।তাই খোঁজ নিয়ে ব্যবস্হা নিচ্ছি।