হেলাল উদ্দিন, মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: দ্রব্যমূল্য দিন দিন লাগামহীন হয়ে ওঠায় ভালো নেই মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যে হারে আকাশচুম্বী হয়ে উঠেছে, সে অনুপাতে বাড়ছে না তাদের আয়। ফলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জীবনযাপনে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। মাসিক আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মিলাতে পারছেন না তারা।
ফেসবুকে ফলো দিয়ে রাখুন
https://www.facebook.com/profile.php?id=61561797107011&mibextid=ZbWKwL
কথা হয় যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা ইউনিয়নের বাসিন্দা মুসফিকুর রহমানের সঙ্গে (ছদ্দনাম)। তিনি জানান- ৫-৭ হাজার টাকা আয় রোজগার করে আর চলে না। তিনি একটি প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। সেখান থেকে মাসিক ৭ হাজার টাকা বেতন পান তিনি। পরিবারে ৪জন সদস্য নিয়ে খুব বিপদে আছি। দিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হাতের নাগাল ছাড়িয়ে যাওয়ায় আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মিলছে না তার। এতে সে দিন দিন ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। কথা হয় রাজগঞ্জ এলাকার আরেক বাসিন্দা মাহতাব হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন- দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করি। সীমিত টাকা বেতন পাই। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে দিন দিনই আয়ের চেয়ে ব্যয়ের পাল্লা ভারি হচ্ছে। মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ৫ সদস্যদের সংসার খরচের জোগান দিতে দিতে হাঁপিয়ে উঠেছি। আশিকুর রহমান (দিনমজুর) রাজগঞ্জের মোকাবরকপুর গ্রামের বাসিন্দা। স্ত্রী সন্তান নিয়ে ৬ সদস্যের সংসার তার। প্রতিদিন হাতে কাজ থাকে না তার। বাজারে জিনিসপত্রের দাম দিন দিন বাড়ায় সংসারের ঘানি টানতে কষ্ট হচ্ছে তার। তিনি বলেন- বাজারে গেলে জিনিসপত্রের দাম শুনে মাথা ঘুরে যায়। যে টাকা নিয়ে বাজারে যাই তাতে সংসারের চাহিদা অনুযায়ী বাজার আনতে পারি না। পেটের ক্ষুধা তো এতকিছু বোঝে না।
সাবস্ক্রাইব করুন ইউটিউবে https://www.youtube.com/@ebnews24
ছেলেসন্তান নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছি। সোমবার (০৮ জুলাই) দুপুরে রাজগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে- সবজি বাজারে সবজি অনেক কম উঠেছে। যেগুলো উঠেছে, সেগুলোর দাম অনেক বেশি। ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। কঁচুর মখি-১০০ টাকা, বেগুন ১৫০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০ টাকা, রসুন ২৫০ টাকা, কাঁচা ঝাল-৩০০ টাকা প্রতিকেজি। এরকম প্রত্যেকটা সবজির দাম আকাশচুম্বী। অল্প আয়ের ক্রেতারা কিনা তো দুরের কথা, দাম শুনতেই ভয় পাচ্ছেন। এর সাথে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও বাড়তি রয়েছে।