আতাউর রহমান, রাজিবপুর(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর উপজেলার চরে চরে যেন হেসে হেসে দোল খাচ্ছে সোনালী ধান। সে সাথে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। আবার কোথাও কৃষকের মাথায় হাত। তবু কৃষক বুকভরা আশা নিয়ে অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে রয়েছে বেশ কয়েকটি চর।
বড়বেড় চর , কীর্তন তারী,ভেলামারী ও নাওশালার চর।
হ্যাঁ ওই সকল চরে ঢুকলেই প্রানে দোলা দিয়ে মন জুড়িয়ে যায়।
শনিবার কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকদের সাথে। যুব কষক জিয়াউর রহমান জিয়া। হ্যাঁ সে শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়া একজন আদর্শ কৃষক।
ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি বাপ, দাদার রেখে যাওয়া মাঠে তিনি আমন ধান রোপণ করেছেন।
প্রায় ১০ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধান চাষ করেছেন।
শেষ পর্যন্ত কোন বালা মশিব্বত না হলে তার সোনালী ফসলে গোলা ভরে যাবে।
কথা হয় আদর্শ কৃষক সাইফুল, রুহুল সহ অনেকের সাথে। তাদের বুকভরা আশা আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁদের কাংক্ষিত ফসল ঘরে উঠবে।
তবে অনেক কৃষক শংকিত আছেন। কারণ ক্ষেতে ক্ষেতে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ।
বালাইনাশক ব্যবহার করেও ফল পাচ্ছেন না।নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাদের প্রদানের ফসল।
বালিয়ামারী মন্ডল পাড়ার কৃষক আব্দুল কাদের জানান,এ বছর যারা বিআর ১৭ ধান চাষ করেছেন তারাই ঠকেছেন।
তবে সার্বিক ভাবে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।
কৃষক জিয়া বলেন,অন্য বছরের তুলনায় এবার ধান ভালো হয়েছে।
চর রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন মিয়া জানান, সার্বিক ভাবে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বৈরী আবহাওয়ায় কারণে কিছু এলাকায় কৃষক ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে।