সাকিব হোসেন পটুয়াখালী প্রতিনিধি
বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের এক শিক্ষার্থীকে বাসে হেনস্তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিচার নিয়ে বাস মালিক সমিতিতে গেলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাও করা হয়। পরে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে বরিশালের বিএম কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধে ওই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন দূরপাল্লার যাত্রীরা।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বরিশাল বিএম কলেজের রাষ্টবিজ্ঞান ২য় বর্ষের এক ছাত্রী রজাপুর থেকে তওহিদ পরিবহনে করে বরিশালে আসছিলেন। পথে বাসের ভাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, ওই নারী শিক্ষার্থীকে লাঞ্চিত করেছে বাসের হেলপার ও চালক।এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ১০ সদস্যের একটি টিম বরিশাল রূপাতলী বাস মালিক সমিতিতে গেলে সেখানে তাদের ওপরে হামলা করা হয় বলে অভিযোগ করেন। এ সময় তারা দোষীদের বিচার ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়াসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়ে রূপাতলী গোল চত্বরে অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের ৮ দফা:
বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের ও নারী শিক্ষার্থী হেনস্তায় জড়িত বাস কর্মচারী ও সংশ্লিষ্টদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে; শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে; বরিশাল বিভাগের সব রুটে শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড প্রদর্শনপূর্বক বাধ্যতামূলক হাফপাস বাস্তবায়ন করতে হবে ও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা কার্যকর করতে হবে, ২৮ জানুয়ারি হামলার ঘটনার পরে আর কোনো শিক্ষার্থী হেনস্তার প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট বাসের রুট পারমিট বাতিল করতে হবে এবং অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কার্যকর করতে হবে, অনির্বাচিত নয়; দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচিত বাস মালিক সমিতির কমিটি দিতে হবে; আধুনিক বাস সেবা ও ডিজিটাল ট্রাফিক আইন বাস্তবায়ন করতে হবে, প্রশিক্ষিত ড্রাইভার ও হেলপারের মাধ্যমে আধুনিক বাস সেবা চালু করতে হবে, বরিশালের সব স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব বন্ধের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যদি এ দাবি মানা না হয় সড়ক থেকে না যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।