রানা ইসলাম,বদরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরে বদরগঞ্জে শুক্রবার ১৩!ই ডিসেম্বর বিষ্ণুপুরের ছোট হাজিপুর বানিয়াপাড়া গ্রামে এক ব্যতিক্রম বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।কনে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নার্স চাকরি সুবাদে ছেলের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে তারা দীর্ঘদিন একে অপরের মাঝে সুন্দর একটি সম্পর্ক স্হাপন করে। কনে সালেহা আক্তার লাবনী উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছোট হাজিপুর বানিয়াপাড়া গ্রামের লাভলুর মেয়ে। অন্যদিকে বর নাজিম ইসলাম চৌধুরী মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বকশি ইউনিয়নের পাবদা গ্রামে রেনু চৌধুরী ছেলে।
ছেলে সিলেট আদালতের শিক্ষানবিস আইনজীবী। সাংবাদিক এক প্রশ্নের জবাবে, কনে সালেহা আক্তার লাবনী বলেন, তার জীবন সঙ্গী নাজিম ইসলাম চৌধুরীকে বলেন তুমি হেলিকপ্টারে করে আমাকে বিবাহ করে নিয়ে যাবে।কনের এই স্বপ্ন পূরনের জন্য বর সিদ্ধান্ত নেয় হেলিকপ্টার। এদিকে হেলিকপ্টার আসার খবরে উৎসুক এলাকার শিশু-কিশোর ও নারী পুরুষ সহ বিভিন্ন বয়সের হাজারো মানুষ ভিড় করেন ছোট হাজিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুল মাঠের পাশে। জামাই হেলিকপ্টারে কনেকে নিয়ে যাবে এই খুশিতে নতুন বউ আনন্দে বিমোহিত। , শশুর শাশুড়ি সহ পরিবারের লোকজন । হেলিকপ্টার আসার ও বিরল এই বিয়ের খবর শুনে তিন শতাধিক উৎসুক নারী পুরুষ শিশু ছোট হাজিপুর স্কুল মাঠে ভীড় করছেন।পাশাপাশশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে দেখা যায় নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য।
বিয়ে রেজিস্ট্রার কাজী আব্দুল মাবুদ জানান, হেলিকপ্টারটি অবতরণ করার পরে কনের বাবা ও তার আত্মীয়-স্বজন বরকে উৎসবমুখর পরিবেশে বরণ করে নেন। এরপর ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ের রেজিস্ট্রি করেন।
কনের চাচা আতিয়ার রহমান বলেন,পূর্ব থেকে পারিবারিক ভাবে সম্পর্ক থাকায় দুই পরিবার মিলে সালেহা আক্তার লাবনী ও নাজিম ইসলামের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল বিয়ে হয় আজ শুক্রবার হেলিকপ্টারে করে ছেলে আমাদের মেয়েকে নিয়ে যায়।তিনি সকলের কাছে নব-দম্পতির জন্য দোয়া কামনা করেন। বদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম আতিকুর রহমান বলেন, হেলিকপ্টার আসার খবর শুনে ঘরে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।