রানা ইসলাম,বদরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি: মাঘের শুরুতে তীব্র শীত অনুভূত না হলেও কয়েকদিন থেকে বেড়েছে শীতের দাপট। গত দুইদিন থেকে দেখা মিলছে না সূর্যের। ফলে সকালে বৃষ্টির মত ঝরছে কুয়াশা। ঝিরঝির কুয়াশায় রাস্তাঘাট ভিজে গিয়েছে। দিনভর কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল হাওয়ায় আবারো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রংপুরে বদরগঞ্জ উপজেলার জনজীবন।
গত চার দিন থেকে , বদরগঞ্জে ওপর দিয়ে তৃতীয়বারের মতো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। গত চারদিন থেকে শীতের তীব্রতায় জনজীবন কাহিল হয়ে পড়েছে। আর গত দুই দিন ধরেই কুয়াশার আড়ালে ঢাকা রয়েছে সূর্য। সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কিছুটা কম থাকলেও রাতে এবং সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। সঙ্গে হিমেল বাতাস শীতের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন আবহাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
শীতের তীব্রতার সঙ্গে মৃদু শৈত্য প্রবাহের প্রভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন।বেশি অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শ্রমজীবি,পেশাজীবি,খেটে খাওয়া মানুষ। তারা প্রতিদিন জীবন জীবিকার খোঁজে না বের হলে পরিবারগুলো খাবারের তীব্র কষ্ট পেতে হয়। তবে শহরাঞ্চলের চেয়ে শীতের তীব্রতা গ্রামাঞ্চলে আরো অনেক বেশি অনুভূতি হয় বলে জানান আবহাওয়া অফিস।দিগন্ত জুড়ে খোলাজায়গায় শস্য ক্ষেত আর গাছপালার কারণে সেখানে শীত বেশি অনুভূতি হচ্ছে।
এদিকে শীতের মধ্যে জীবিকার তাগিদে অনেকে কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হলেও তাদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে।
পৌরশহরে চাঁদ কুটির ডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা কাছু মিয়া।পেশায় তিনি একজন কলা ব্যবসায়ী।প্রতিদিন ভোরে কলা বিক্রি করতে ২৩কিলোমিটার দূরত্ব রংপুর শহরে যান।গত চার দিন থেকে ভোরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশায় তিনি রংপুরে কলা বিক্রি করতে যেতে পারছেননা।রিকশাচালক জলিল মিয়া বলেন, গত চারদিন ধরে মেঘ আর কুয়াশায় দেখা যাচ্ছে না সূর্য। কাজ করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। ঠান্ডা বাতাসের কারণে কাজ করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসে।তাই বাসায় বসে আছি।
কালুপাড়া ইউনিয়ন শংকরপুর চেমটাপাড়া গ্রামের মোন্নাফ মিয়া বলেন, হঠাৎ করে প্রচুর ঠান্ডা পড়েছে। সূর্যের দেখাই পাওয়া যাচ্ছে না। এখন ধান রোপণের সময়। জমির পানিতে নামলে মনে হচ্ছে বরফ হয়ে আছে পানি। এজন্য ঠিক মতো ধান রোপণ করতে পারছি না।
বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডা:আশেকুল আরোফিন বলেন, উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত ঠান্ডা জনিত রুগীর সংখ্যা স্বাভাবিক রয়েছে। কোন প্রাদুর্ভাব ঘটেনি। জনিত রোগের ঔষধ পর্যাপ্ত রয়েছে। অপর প্রশ্ন তিনি বলেন, এমন আবহাওয়া আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকলে ঠান্ডার জনিত রুগীর সংখ্যা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
রংপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, মাঘ মাসের শুরুতেই শীতের তীব্রতা পঞ্চগড় দিনাজপুরে ছিল বেশি। বর্তমানে শীতের তীব্রতা রংপুর অঞ্চলে বাড়ছে।তিনি আরো জানান,আগামী ৪-৫ দিন হয়তো শৈত্য প্রবাহে থাকতে পারে।
উপদেষ্টা: আলহাজ্ব আব্দুল জব্বার শেখ, প্রকাশক: মোঃ মাসুম সরদার, সম্পাদক জাবেদ হোসেন, নির্বাহী সম্পাদক: রফিক ইকবাল, বার্তা সম্পাদক: নাহিদ জামান, সহকারী বার্তা সম্পাদক: কলি আক্তার, প্রকাশক কর্তৃক বিসমিল্লাহ প্রিন্টিং প্রেস, ২১৯, ফকিরেরপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত ও ১৯৫ রহমান ম্যানশন, (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা থেকে মুদ্রিত। অফিস বাড়ি নং- ১২৯ (২য় তলা), আরাফাত গলি, খুলনা। ফোন: ০১৩৩৪-৬৮০৪২০, ই-মেইল: dailyebnews@gmail.com
Copyright © 2025 EB NEWS. All rights reserved.