রানা ইসলাম,বদরগঞ্জ(রংপুর) সন্ধ্যার পর বাড়ির লোকজনকে লুৎফর রহমান(৭০) বলেন আমি ডাঙ্গীরপাড় বাজারন থেকে চা খেয়ে বাসায় ফিরছি।এ কথা বলে তিনি বাড়ি থেকে বের হলেন। কিন্তু রাত ১০টা বেজে গেলেও তিনি আর বাড়িতে ফেরেনি।
এ ঘটনায় পরিবারের লোকজন চিন্তায় পড়ে যায়।সারা রাত অনেক খোঁজ করে লুৎফর রহমান সন্ধান পায়না।পরের দিন আমের চারাগাছের বাগানের পাশে ঝোপে লুৎফর রহমানকে আহত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের একজন সদস্য। পরে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।রবিবার ১সেপ্টেম্বর উপজেলা কুতুবপুর ইউনিয়ন লোহারবন্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মৃত্যু লুৎফর রহমান ছেলে নজরুল ইসলাম সন্দেহজনক ভাবে একই গ্রামের ১০জনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মারা যাওয়া লুৎফর রহমান ও তার ছেলে নজরুল ইসলাম সঙ্গে বিবাদীর সাথে পূর্বে থেকে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।বিষয়গুলো নিয়ে স্হানীয় ভাবে দফায় দফায় সালিসি বৈঠক হলে সমাধান হলেও।পরবর্তীতে আবারও বিরোধ শুরু হয়।অভিযুক্তরা কেউ বাড়িতে না থাকায় কারো সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।তবে বিবাদীগনের তিনজন স্ত্রী সাংবাদিককে বলেন,মারা যাওয়া লুৎফর স্ত্রী ও তার ছেলে নজরুলের স্ত্রী ঝগড়া লাগার সময় আমাদেরকে সব সময় বলতো বলতো বেশি বাড়লে ওনাক(লুৎফর) বিষ খিলি মারি তোমার বাড়িত লাশ থুয়ে আসিম।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে লোহারবন্দ গ্রামের এক ব্যক্তি বলেন,ঘটনাটি বড় রহস্যজনক।ভাল লোকটা রাতে বাড়ি থেকে বের হলো স্হানীয় বাজারে চা নাস্তা খাওয়ার জন্য। পরে শুনি ঝোপত পড়ি আছে আহত অবস্থায়। এটা পুলিশ সিআইডি নিরপেক্ষ সুস্থ তদন্ত করলে আসল রহস্য বের হবে।
এবিষয়ে নিহতের ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন,বিবাদীদের সঙ্গে আমার বাবার আগে থেকে জমি নিয়ে বিরোধ ছিলো।তারা আমার বাবা ও আমাকে যখন তখন প্রাণনাশের হুমকি দিতেন।এ কারনে আমার বাবা ফৌজধারী কার্য বিধির ১০৭ধারায় আদালতে একটি মামলা করেন। তিনি আরো বলেন,আমার বাবাকে ২নং বিবাদী রতনের জঙ্গলবাড়ি থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করি। আমি আইনের কাছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বদরগঞ্জ থানার এসআই তোজাম্মেল হোসেন বলেন, ঘটনাটি নিবিড় ভাবে তদন্ত চলছে। তদন্তে পর ঘটনাটির প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হবে।