মোমিন আলি লস্কর,উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় ও মঞ্জুর আলম গাজী(জয়নগর)ভারত: বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণ। দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালী পুজো, ভাইফোঁটার পরে সকলে অপেক্ষায় থাকেন আরও এক বড় উৎসব- জগদ্ধাত্রী পুজোর। হিন্দু বাঙালির ধর্মীয় মানসে রাজসিক দেবী দুর্গা (পার্বতী) ও তামসিক কালীর পরেই স্থান সত্ত্বগুণের দেবী জগদ্ধাত্রীর। উপনিষদ অনুযায়ী, দেবাসুরের যুদ্ধে দেবতাদের জয়ের পর, তারা অহংকারী হয়ে ওঠেন। তাদের অহং, নিবৃত্তির জন্যই আবির্ভূত হন ত্রিনয়নী দেবী জগদ্ধাত্রী।
চতুর্ভুজা এই দেবীর চার হাতে থাকে, শঙ্খ, চক্র, ধনুক ও বাণ। দেবীর দুর্গার মতো জগদ্ধাত্রীর বাহন সিংহ, যা করীন্দ্রাসুর অর্থাৎ হস্তীরূপী অসুরের পৃষ্ঠে দণ্ডায়মান।কার্তিক মাসের শুক্ল নবমীতে হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। পশ্চিম বাংলায়, দেবীর জগদ্ধাত্রীর পুজোর প্রচলন বৃদ্ধি পায় মূলত, নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজত্বকালে।জগদ্ধাত্রী পুজো শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, প্রতি বছরের মতন এবছরও মহা সমারোহে ও ধুমধাম এবং চন্দনগরের আলোক শয্যায় সজ্জিত মধ্য দিয়ে জয়নগর থানার অন্তর্গত নারায়নীতলা পঞ্চায়েতের সরবেড়িয়া গ্ৰামবাসীদের সহযোগিতায় ও এলাকার সম্মানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উদ্দগ্যে সরবেড়িয়ায় ২২তম বর্ষের জগদ্ধাত্রী পূজা প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন
করলেন বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দার।
চন্দননগরের অভিনব আলোকসজ্জার পাশাপাশি সুন্দর অপরুপ সাজে সজ্জিত জগদ্বাত্রী মায়ের রুপ দর্শনের সুযোগ খুলে গেল ভক্তদের জন্য।উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সংসদ সায়নী ঘোষ,বিধায়ক বিভাস সর্দার সহ উপস্থিত ছিলেন নারায়নীতলা অঞ্চল সভাপতি,প্রধান, উপপ্রধান সহ পুজোর কার্যকর্তা দিবাকর ঘোষ, ভাস্কর ঘোষ, কার্তিক প্রামানিক, শান্তনু দত্ত ও সহ সরবেড়িয়ায় গ্ৰামের বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গগন