আজিজুল ইসলাম,স্টাফ রিপোর্টার: ভরবো মাছে মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা বুধবার(৩১ জুলাই) সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, বাংলাদেশের সাদাসোনা খ্যাত চিংড়ি সেক্টরে আমাদের অর্জন অনেক। তবে রাতারাতি ধনী হওয়ার জন্য কিছু অসাধু ব্যক্তি চিংড়িতে অপদ্রব্য মেশানোর ফলে বিদেশের বাজারে চিংড়ি রপ্তানিতে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা অঞ্চলে চিংড়ি চাষের যেমন ঐতিহ্য রয়েছে, তেমন সম্ভাবনাও অনেক। সুতরাং এ অঞ্চলে পরিকল্পিতভাবে মাছচাষ সম্প্রসারণ করা গেলে দেশের জন্য বড় অবদান রাখা সম্ভব। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করলে মাছের উৎপাদন অনেক বাড়বে। প্রাকৃতিক উৎস থেকে চিংড়ির পোনা আহরণের সময় অন্য মাছের পোনা ধ্বংস করা যাবে না। সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরার মতো ঘৃণ্য কাজ প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম, মুক্তজলাশয়ে মাছ আহরণে দ্বিতীয়, তেলাপিয়া উৎপাদনে চতুর্থ এবং সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে ২৫তম অবস্থানে রয়েছে। এ অর্জনকে ধরে রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আলমগীর কবির ও প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম। খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. হুসাইন শওকতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন মৎস্য অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক বিশ্বজিৎ বৈরাগী। অনুষ্ঠানে সরকারি-বেসরকারি দপÍরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মৎস্যচাষি, মৎস্যজীবী ও মাছ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, মৎস্যখাদ্য উৎপাদক ও ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মেয়র ১২ জন সফল মৎস্য চাষি, রপ্তানিকারক ও সংগঠকদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।এর আগে মেয়র নগরীর শহিদ হাদিস পার্কের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন এবং মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় নেতৃত্বে দেন। শোভাযাত্রাটি শহিদ হাদিস পার্ক থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।