জাহাঙ্গীর আলম মুকুল,ডুমুরিয়া(খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার ডুমুরিয়ায় আলোচিত নাবালিকা ৭ম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী লম্পট ইসলাম মোড়ল (৫২) অবশেষে আদালতে আত্নসমার্পণ করছে।দীর্ঘ দুই সপ্তাহ পালিয়ে থাকা এ আসামী গত সোমবার আত্নসমার্পণ করে বলে জানিয়েছে মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মোঃ মনিরুজ্জামান। সে ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবিন্দকাটি গ্রামের মৃত মনির উদ্দিন মোড়লের ছেলে।
মামলার অভিযোগ ও ভিকটিম পরিবার সুত্রে জানা গেছে, আসামী ভিকটিমের সর্ম্পকে প্রতিবেশী দাদু হয়।সেই সুবাদে আসামীর অবাধে আসা যাওয়া ছিলো ওই বাড়িতে। ভিকটিম স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী। বিভিন্ন সময়ে একা পেয়ে মেয়েটিকে অশ্লীল অঙ্গ-ভঙ্গীসহ কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল আসামি।
কিন্তু সে প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বিষয়টি তার বাবা মাকে জানালে আসামীকে এহেন কর্মকান্ড হতে বিরত থাকতে অনুরোধ করে।এতে ধর্ষক আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি ও ক্ষতি করার মানসে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠে।
প্রসঙ্গত গত ২৭ সেম্পেটম্বর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ভিকটিমের বাবা বাড়ীর বাহিরে থাকার সুযোগে ভিকটিম ও তার মা রুমা বেগম রাতের খাওয়া শেষে তারা পৃথক পৃথক শয়নকক্ষের দরজা জানালা বন্ধ করে প্রতিদিনের ন্যায় ঘুমিয়ে পড়ে।
কিন্তু রাত সাড়ে ১০ টার দিকে শয়নকক্ষের পিছন পাশ দিয়ে সুকৌশলে ঘরে প্রবেশ করে কু-প্রস্তাব দেয় আসামী। আসামীর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভিকটিমকে ওড়না দিয়ে হাত মুখ বেঁধে খাটের উপর তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পরনের বস্ত্র খুলে জোর পূর্বক ধর্ষণ করতে থাকে।
এ সময় ধস্তাধস্তি ও ভিকটিমের ডাকচিৎকারে ধর্ষক ইসলাম মোড়ল দৌড়ে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা ঘটনা স্থল থেকে ধর্ষিতাকে বিবস্ত্র ও গুরতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে থানা পুলিশে খবর দেয়।পুলিশ হেফাজতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অনস্টোপ ক্রাইসিস সেন্টার থেকে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় গত ১লা অক্টোবর ভুক্তভোগীর বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ১, তারিখ ১/১০/২০২৪ইং। বিজ্ঞ নারি ও শিশু নির্যাতন দমন বিষেশ আদালত ধর্ষিতার জবানবন্দি গ্রহন করেছেন।
এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ লম্পট ধর্ষক ইসলাম মোড়ল একজন নারি লোভী ব্যাক্তি। এর আগে সে বিভিন্ন সময় স্বামী পরিতাক্ত,বিধবা ও অসহায় নারিদের সাথে অনৈতিক কাজ করতে উদ্দ্যাত্ত হয়। এছাড়া মঠবাড়িয়া এলাকা থেকে ছাগল চুরি কালে হাতে নাতে আটক করে স্থানীয় লোকজন। গণধোলাই ও জরিমানা দিয়ে রক্ষা পায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নারী ইসলামের কুদৃষ্টির আতঙ্কে ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মনিরুজ্জামান বলেন, ধর্ষণ মামলায় পলাতক আসামি ইসলাম মোড়ল আদালতে আত্নসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।