রানা ইসলাম,বদরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরে বদরগঞ্জ উপজেলা বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের খাগড়াবন্দ শাহপাড়া গ্রামের কাঁচা রাস্তাটির উপর দিয়ে প্রতিনিয়তে হাজারও মানুষের চলাচলকারীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সামান্য বৃষ্টি হলে পুরো রাস্তাটি কাঁদায় একাকার হয়।এই কর্দমাক্ত রাস্তার থেকে পরিত্রান ও রাস্তাটি পাকাকরন করতে এলাকাবাসী স্হানীয় সাংসদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।প্রায় ৩কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর এই রাস্তাটি।যানবাহন চলাচল দূরের কথা এ রাস্তা দিয়ে যেতে হলে জুতা হাতে নিয়ে চলাচল করতে হয় পথচারীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের।
সরজমিনে বেহাল দশা এই রাস্তায় গিয়ে দেখা গেছে, কাঁচা রাস্তাটি শহিদুল হক শাহ এর বাড়ি থেকে পাঁচপীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত এ রাস্তাটি বর্ষা মৌসুমে কাঁদায় চলাচলে একেবারে অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে।প্রতিদিন চরম ভোগান্তি নিয়ে ওই এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী শিক্ষকসহ সব শ্রেণীর মানুষের যাওয়া আসা করছে।
এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে বাইসাইকেল মোটরসাইকেল নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলের সময় চরম বিপাকে পড়ছেন
স্হানীয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবববৃন্দ জানান,এই রাস্তা দিয়ে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন চরম ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হয়।অনেক সময় ছোট ছোট কোমলপ্রাণ শিশুরা স্কুলে যাওয়ার সময় পিছলে পড়ে যেয়ে পড়নে পোষাক নোংরা হয়ে পড়ে।
শাহাজাহান নামে এক ব্যাক্তি বলেন,প্রতিদিন এই কাদাযুক্ত রাস্তা দিয়ে পারাপারের সময় কাপড় নষ্ট হয়ে পড়ে।এছাড়াও
ভ্যানে পার হওয়ার সময় চাকা কাদার মধ্যে আটকে যায়।
আবু তাহের নামে একজন বলেন,সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তাটিতে খালি কাঁদা আর কাঁদা। মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় কাঁদায় গাড়ি আটকি যায়।মাননীয় এমপি মহোদয় সুদৃষ্টি কামনা করছি অনতিবিলম্ব হাজারও মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি এই রাস্তাটি পাকা করার জন্য।
প্রতিদিন ঐ রাস্তা দিয়ে যাওয়া আসার সময় ভোগান্তি শিকার নাজমুল হোসেন বলেন, ওই এলাকার তিনহাজারও মতো মানুষ স্হানীয় হাটবাজার, ইউনিয়ন পরিষদসহ বদরগঞ্জ উপজেলা যাওয়া আসা করতে হয় অনেক ভোগান্তি নিয়ে। আবার কেউ অসুস্থ হলে জরুরিভাবে উপজেলা সদর হাসপাতাল অথবা রংপুরে নিয়ে যেতে হলে
এ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন যানবাহন একমাত্র ভরসা এই রাস্তাটি।
তাই খুব তাড়াতাড়ি এই কাদাযুক্ত রাস্তাটি পাকাকরনের জন্য স্হানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এবিষয়ে স্হানীয় ইউপি সদস্য রাসেল মিয়া মুঠোফোন কল দিলে তিনি বলেন,ভাই আপনাকে আমি পরে কল দিচ্ছি। পরবর্তীতে তিনি আর কল দেননি।
বিষ্ণুপুরের ইউপি চেয়ারম্যান ফিন্দিউল হাসান চৌধুরী শান্ত ,মুঠোফোনে বলেন,রাস্তা পাকাকরণ বরাদ্দ ইউপি চেয়ারম্যাননা পাননা।তারপরও এ রাস্তাটি বিষয়ে আমি অবগত আছি।