রুহুল আমিন রুকু, কুড়িগ্রাম, প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ও গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বন্যা দুর্গত মানুষের দুর্ভোগ সীমাহীন হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের খারুয়ার পার, সবুজ পাড়া, চর রসুলপুর, প্রথম আলোর চর এলাকায় অব্যাহত গতিতে নদী ভাঙ্গন চলছে। ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদের ভাঙ্গনে ৯৫ পরিবার বসতবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে। ঘোগাদহ ইউনিয়নের চলতি বন্যায় পানিবন্দীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার। যাত্রাপুর ইউনিয়নেও চলছে অব্যাহত গতিতে নদী ভাঙ্গন। যাত্রাপুর ইউনিয়নে পানিবন্দির সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫ হাজার পরিবার। গত কয়েক দিনের নদী ভাঙ্গনে যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৭০ টি পরিবার বসতবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে ।যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গফুর জানান, সরকারিভাবে বন্যা দুর্গতদের মাঝে প্রায় ১৫০০ পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও বন্যা দুর্গতদের সহায়তা করা উচিত। এ ব্যাপারে ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মাস্টার জানান, ঘোগাদহ
ইউনিয়নে বন্যা দুর্গত ৬০০ পরিবারকে ১০ কেজি করে জিআর চাল দেয়া হয়েছে। নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে এখন পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়নি। তবে তালিকা করে জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।