এম মুরশীদ আলী: বাড়িতে পোষা বিড়াল প্রাণীটির আদর করে নাম রাখা হয়- মিশু। বিড়াল জাতির শিকার এবং হিংস্রতা কিন্তু অনেকটাই বাঘের মতো, তাই বাঘের মাসি হিসেবে পরিচিত। অথচ বাঘের বসবাস বনে আর বিড়ালের বসবাস মানবগৃহে। মিশু অনেকটাই শান্ত এবং মায়াবী হিসেবে পরিবারের জায়গা নিয়ে ১ বছর পেরিয়েছে। হঠাৎ মিশুর অসুস্থতা দেখে পরিবার থেকে চিকিৎসার জন্য রূপসা উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক চিকিৎসক মিশুর শরীরের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে ধরা পড়ে ১০৪°৫ জ্বর উঠেছে। শরীরের অধিক তাপদাহ হওয়ার ফলে এভাবে কাতরাচ্ছে মিশু। জ্বর দ্রুত নিরাময় করতে ডাক্তার পরপর ২টি ইনজেকশন পুশ করে বলেন- মিশু দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে- দুশ্চিন্তা কেটে যাবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে।
দেখুন- বাঘের মাসিকে জাপটে ধরে ইনজেকশন পুশ করল অথচ একটুও হিংস্র ভাব দেখালো না। বিড়ালটিও বুঝল মানবজাতি মানবিক কাজ করছে আমাকে সুস্থ করার জন্য।
পরিবার : মিশু একজন সদস্যর মত গড়ে উঠেছে। আমরা যা খাইনা কেন মিশুকেও খাওয়ায়। সে পরিবারের সু রক্ষায় বসবাসের জন্য ইঁদুর, তেলাপোকা সহ বিভিন্ন ক্ষতিকারক পোকামাকড় মেরে পরিবেশ রক্ষার কাজ করে। মিশু একসাথে বিছানায় ঘুমাতে পছন্দ এবং আদর-যত্ন কেড়ে নিতে তার মসৃণ নরম লোম আমাদের গায়ে ঘষা দিয়ে আরাম ও মজা উপভোগ করাতে থাকে। মিশু ঘুমের ভাবে লেজের মাথা নেড়েচেড়ে বুঝায় আমি সম্পূর্ণ ঘুমিয়ে নেই মানবজাতির পাহারায় আছি।