রিয়াদ ইসলাম,রংপুর,প্রতিনিধি: শুক্রবার ১৬ আগস্ট রংপুরের বদরগন্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নে। সচেতন যুব সমাজ নামে একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন গঠিত হয়েছে।
লোহানীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল মাঠে লোহানীপাড়া সচেতন যুব সমাজ নামে একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন গঠিত হয়েছে। লোহানীপাড়ায় তরুণ,তরুনী ও যুবকদের সমৃদ্ধ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা এবং মাদকমুক্ত ইউনিয়ন গড়া সহ বিভিন্ন মতামত দেন।
লোহানীপাড়া সচেতন যব সমাজের নেতাকর্মীরা।
যুবসমাজ হল একটি সমাজের চালিকাশক্তি। বাঙালি বীরের জাতি। আমরা মায়ের ভাষা কেড়ে নেয়ার নাগপাশ থেকে নিজেদের মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হওয়ার হাত থেকে জাতিকে উদ্ধার করেছি। আর এসব কর্মকাণ্ডে সবার আগে প্রাণ দিয়েছে তরুণ ও যুবসমাজ।
সমাজ পরিবর্তনের জন্য চাই গতি, শক্তি ও প্রগতি। যারা পুরনো ধ্যান-ধারণা নিয়ে চলে এবং কূপমণ্ডূকতার আশ্রয় নেয়, তাদের দ্বারা সমাজ পরিবর্তন সম্ভব নয়। বাঙালি জাতির আছে দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস। আর এ ধারা চলতেই থাকবে। যুবসমাজই এ সংগ্রামের অগ্রনায়ক। আবার এ বয়সে যুবসমাজের বিপথগামিতাও বেশি।
১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ এ দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০০০ সালের ১২ আগস্ট থেকে এটি পালন করা হচ্ছে। এ দিবসের মধ্য দিয়ে বিভিন্নভাবে তরুণ ও যুবসমাজকে সচেতন করা হয়।
বিশ্বের সব দেশের সরকারের মধ্যে তাদের দেশের যুবকদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য সচেতনতা তৈরি করা এই দিবসের লক্ষ্য।
বাংলাদেশের জন্য দিবসটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠিই তরুণ ও যুবক। তারাই উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রকৃত কারিগর।এই যুব সমাজ বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এমনকী বর্তমান মহামারী মতো বিভিন্ন ঘটনায় পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসাবে কাজ করেছে। বিশ্বব্যাপী সামগ্রীক পরিবর্তন আনতে যুব সমাজের এই অবদানের জন্য প্রতি বছর ১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত হয়।
দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজকে আলোকিত করতে এই যুব সমাজের ভূমিকা অবিস্মরণীয়।
বাংলাদেশের সব আন্দোলন-সংগ্রাম ও অগ্রগতির পথে এ দেশের যুব সমাজের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামসহ এ দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যুবরা যেমন জীবন উৎসর্গ করতে কার্পণ্য করেনি, তেমনি অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামেও তারা নিরলসভাবে ব্যাপৃত। বিশ্বব্যাপী ‘কোভিড-১৯’ মহামারির সময়েও আমাদের যুবসমাজের কর্মস্পৃহা আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে সচল রেখেছে।