শিরোনাম:
সারা কলকাতা জুড়ে পালিত হলো প্রেম দিবস অর্থাৎ Happy valentine’s day 2025 শবেবরাত (লাইলাতুল বরাত) ইসলাম ধর্মে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ রাত। এটি হিজরি বর্ষপঞ্জির ১৪ শা’বান রাতে পালিত হয় পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ আব্দুল আলীমের বিবৃতি বগুড়ায় মঞ্জুরুল হক মন্টু হত্যা মামলার পলাতক আসামী মানিক গ্রেফতার মাদক সম্রাট আব্বাস ও তার স্ত্রী সেলিমসহ- মাদক নগদ টাকাসহ,৩ জন মাদক ব্যাবসায়ী আটক আজ মহিমান্বিত রাত পবিত্র শবে বরাত বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সুন্দরবন দিবস পালিত  সুনামগঞ্জে”অপারেশন ডেভিল হান্ট”অভিযানে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৭ জন গ্রেফতার ছাতক থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া হাসানের বদলি নতুন ওসির যোগদান মিরপুরের ইউএনও মিটিং করলেন আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে, সমালোচনার ঝড়
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
সারাদেশে জেলা, উপজেলা ও ক্যাম্পাস প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে....। আগ্রহীগণ যোগাযোগ করুন:  01911179663

বাংলাদেশ’ নামকরণ কবে করা হয়?

Reporter Name / ৮১ Time View
Update : শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ইবিডেস্ক: বাংলাদেশ নামটি রাখার পেছনে রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস। কীভাবে এই দেশের নাম বাংলাদেশ রাখা হল – এ বিষয়টিকে ইতিহাসের কয়েকটি পরিক্রমায় ভাগ করে বিশ্লেষণ করেন ইতিহাসবিদরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেনও “বাংলাদেশ” শব্দের উৎপত্তিগত ব্যাখ্যা দেন।

যেখানে “বাংলা” শব্দের উৎপত্তি হয়েছে সংস্কৃত শব্দ “বঙ্গ” থেকে। আর্যরা “বঙ্গ” বলে এই অঞ্চলকে অভিহিত করতো বলে ইতিহাস থেকে জানা যায়।

তবে বঙ্গে বসবাসকারী মুসলমানরা এই “বঙ্গ” শব্দটির সঙ্গে ফার্সি “আল” প্রত্যয় যোগ করে। এতে নাম দাঁড়ায় “বাঙাল” বা “বাঙালাহ”।

“আল” বলতে জমির বিভক্তি বা নদীর ওপর বাঁধ দেয়াকে বোঝাতো।

ইতিহাসবিদ আবুল ফজলের উদ্ধৃতি দিয়ে সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, “মুসলমান শাসনামলে বিশেষ করে ১৩৩৬ থেকে ১৫৭৬ সাল পর্যন্ত সুলতানি আমলে এবং ১৫৭৬ সালে মোঘলরা বাংলা দখল করার পরে এই অঞ্চলটি বাঙাল বা বাঙালাহ নামেই পরিচিতি পায়।”

তবে বাংলা, বাঙাল বা দেশ – এই তিনটি শব্দই ফার্সি ভাষা থেকে এসেছে। কোনটিই বাংলা শব্দ নয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজারা দখলদারিত্বের সময় এই বাংলাকে বিভিন্ন নাম দেন।

শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজুদ্দৌলাও বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা, আসামের মতো কয়েকটি প্রেসিডেন্সি নিয়ে নাম দিয়েছিলেন “বঙ্গ”।

ব্রিটিশ শাসনামলে এই অঞ্চলের নাম হয় বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি।

এরপর ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় গোটা বাংলায় একটা প্রশাসনিক বিভাজন হয়। বাংলার পশ্চিম অংশ হয়ে যায় পশ্চিম বঙ্গ এবং পূর্ব অংশ হয়ে যায় পূর্ব বাংলা।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন অবসানের পর ১৯৪৭ সালে বঙ্গ-প্রদেশ ভারত ও পাকিস্তানে বিভক্ত হল। সে সময় পাকিস্তানিরা পূর্ব বাংলার নাম দিতে চাইলো পূর্ব পাকিস্তান।

কিন্তু এ নিয়ে সেই সময় থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালে পূর্ব পাকিস্তানের মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায় বাংলা।

এরপর ১৯৫৭ সালে করাচীতে পাকিস্তানের গণপরিষদের তরুণ সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান বক্তৃতা দেয়ার সময় “পূর্ব পাকিস্তান” নামটির প্রতিবাদ করে বলেন যে, পূর্ব বাংলা নামের একটি ইতিহাস ও ঐতিহ্য আছে।

“আর যদি পূর্ব পাকিস্তান নাম রাখতেই হয়, তাহলে বাংলার মানুষের জনমত যাচাই করতে হবে। তারা নামের এই পরিবর্তন মেনে নিবে কিনা- সেজন্য গণভোট নিতে হবে।”

যাক বাংলাদেশ নামটাও তারই দেওয়া; বদলে ফেলুন…


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category